ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নোয়াখালীতে ভুয়া ডাক্তারের ২ বছরের কারাদণ্ড

নোয়াখালীতে ভুয়া ডাক্তারের ২ বছরের কারাদণ্ড

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ল্যাবএইড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে হাবিবুর রহমান নামে নিউরো মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক পরিচয়ে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান রাজবাজী জেলার বালিয়াকান্দি থানার বাওনারা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। গতকাল দুপুরে উপজেলার আলীপুর এলাকার চৌমুহনী-মাইজদী প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত ল্যাবএইড থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান আরো জানান, ভুয়া ডাক্তার রাকিব আহসান নামে নিজেকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকার সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো মেডিসেনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক এ জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা পূর্বক রোগী দেখার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ এবং জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আসিফ আল জিনাতসহ ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক নোয়াখালী শাখায় অভিযান চালায়। এ সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে একজন স্বীকৃত চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অপরাধে হাবিবুর রহমানকে মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত (ভুয়া ডাক্তার) নিজেকে ডা: রাকিব আহসান ও ডা: মো. রাকিব হাসান শুভ পরিচয় দিলেও তার প্রকৃত নাম হাবিবুর রহমান। গ্রেপ্তার আসামি নিজেকে এমবিবিএস ও নিউরো মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মেডিল্যাব জেনারেল হাসপাতাল, মানিকগঞ্জ, আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঈশ্বরদী, পাবনা, কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বরগুনা, ভোলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভোলা, কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক ল্যাব, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন সুমানধন্য হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা পূর্বক রোগী দেখার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ সময় অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আসিফ আল জিনাত, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত