ভারত থেকে এলো হাজার হাজার বানর

অতিষ্ঠ স্থানীয়রা

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ভারত থেকে হাজার হাজার বানর এসেছে বাংলাদেশে। এতে বানরের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ২নং মুন্সীরহাট ইউনিয়নের আওতাধীন পৈথারা, ফকিরের খিল, কামাল্লা, বদরপুর ও জামমুড়ার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত থেকে এসেছে কয়েক হাজার বানর। ত্রিপুরা রাজ্যের একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারতের বনাঞ্চলে পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় খাবারের খোঁজে বানরের দল সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে দলবেঁধে আসছে লোকালয়ে। হানা দিচ্ছে ফসলের খেতে ও ফলের বাগানে। ফলে এসব এলাকার প্রান্তিক কৃষকরা বানরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছে না, আলু, বেগুন, বরবটি, সিমসহ বিভিন্ন সবজির বাগান। স্থানীয়রা বলেন, ভারতের অন্য রাজ্যে বানরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায়, ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কয়েক হাজার বানর এনে ত্রিপুরা রাজ্যের বনাঞ্চলে অবমুক্ত করে। সেই বানরগুলোই বনাঞ্চলে খাবার না পেয়ে দলে দলে ছুটি আসছে লোকালয়ে। প্রতিদিন বানরগুলো দুই-তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে দিনে দুবার সময় করে হানা দেয় স্থানীয় কৃষকের আম, কাঁঠাল, সবজির বাগানসহ শস্যক্ষেতে। বাড়িতে ঢুকে খেয়ে ফেলছে এলাকাবাসীর রান্না করা খাবার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন জানান, গেল দুই-তিন মাস ধরে ভারত থেকে আসা বানরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং কৃষকরা। বানরগুলোকে বাংলাদেশ থেকে তাড়ানোর জন্য বন বিভাগের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। স্থানীয় কৃষক আব্দুল মুনাফ বলেন, প্রতিদিন ভারত থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বানরগুলো এসে আমাদের ফসলের জমিসহ বিভিন্ন সবজির বাগান নষ্ট করছে। বানরগুলোকে তাড়ালেও যায় না। বানরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে এখন ২৪ ঘণ্টা আমাদের ফসলের মাঠে থাকতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, যেহেতু এরা নিরীহ প্রাণী এদের মারা যাবে না। আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বানরগুলোকে তাড়াতে হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আমরা লোক পাঠাব এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করব। সীমান্তবর্তী এলাকার এসব প্রান্তিক কৃষকরা বানরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বন বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সচেতন মহল বলছে, বন বিভাগ সঠিক উদ্যোগ নিলে হয়তো বানরের উৎপাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবেন স্থানীয় কৃষকরা।