নীলফামারীতে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা গেছে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার থেকে পুণরায় শীতের দাপটে তাপমাত্রা কমতে কমতে গতকাল শনিবার এই তাপমাত্রায় এসেছে। এতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে শীতের তীব্রতা আর এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। কুয়াশায় ছেয়ে আছে নীলফামারী সদরের গ্রামের রাস্তাঘাট। মানুষ শীত নিবারনের জন্য আগুনের কুন্ডুলি জ্বালিয়ে দিয়েছে রাস্তায় রাস্তায়। সবচেয়ে বেশি শীতে কাহিল হয়েছে তিস্তা নদী পরিবেষ্টিত জেলার টেপাখড়ি বাড়ী, শৌলমারী, খগাখরি বাড়ি, গয়াবাড়ীতে সকাল গড়িয়ে রাতে কনকনে ঠান্ডা বিরাজ করছে। কুয়াশায় ছেয়ে আছে কয়েক দিন ধরে সকাল থেকে গড়িয়ে রাত অবধি। এদিকে শীতের আগমনের সাথে সাথে কষ্টে দিন কাটছে ফুটপাতে, নিম্ন শ্রেণির আয়ের মানুষ ও চরাঞ্চলের মানুষের। শীত বস্ত্রের অভাবে অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি বিপাকে। শীতের কারণে কাজেও যেতে পারছে না এবং সরকারিভাবেও তেমন কোনো সাহায্য না থাকায় কষ্টে দিনযাপন করছেন পরিবারগুলো। তারা পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের শামীম হোসেন জানান, এখন সকাল থেকে তিস্তার আশপাশের এলাকায় কনকনে ঠান্ডায় কাতর হয়ে যায় দরিদ্র মানুষরা। আর কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা এলাকা।
গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এবং সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরল ইসলাম শাহ বলেন, প্রচণ্ড শীতে জমিনের কৃষিকাজে মেহনতী মানুষ যেতে না পারায় কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। কৃষি শ্রমিক হাসান আলী বলেন, তীব্র শীতে কাজ কমে গেছে, আর যেটুকু মিলছে তাতে মজুরি কম, তাই শীতবস্ত্র কেনার টাকাও নেই, পরিবারের শিশু সন্তান নিয়ে এবার বিপাকে পড়েছি। শীতের কারণে আগের তুলনায় শহরে লোকজন কমেছে, ফলে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে জেলা সদরের পৌর এলাকার শাকামাছা হাটের ব্যবসা-বাণিজ্যে। নীলফামারী পৌর এলাকার বড়ো বাজারের ব্যাবসায়ী শৃঙ্খলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, লোকসমাগম কমে যাওয়ার কারণে বেচাবিক্রি কমেছে।