স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি) সিরাজগঞ্জে দুই নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন নিয়ে এখন ঠেলাঠেলি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস পাড়ায় নানা আলোচনার ঝড় বইছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে কর্তব্যরত নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের অন্যত্র বদলীর আদেশ দেয়া হয়। তার স্থলে পাবনা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ বদলির দুই মাস কেটে গেলেও কর্তব্যরত নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম নতুন নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। গত রোববার দায়িত্ব বুঝে দেয়ার কথা থাকলেও অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন শফিকুল। এরপর বাধ্য হয়ে দুপুরে ‘অ্যাসুউম’ পদ্ধতিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন মনিরুল। অবশেষে তাকে অফিস ত্যাগ করতে হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাস আগে সিরাজগঞ্জের ওই নির্বাহী প্রকৌশলীকে পাবনায় আমার স্থলে বদলি করা হয় এবং তার কর্মস্থলে আমাকে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নতুন কর্মস্থালে যোগদান করতে বেশ কয়েকবার সিরাজগঞ্জ আসলেও তিনি দায়িত্ব বুঝে দেননি। আজকে দায়িত্ব বুঝে দেয়ার কথা থাকলেও তিনি অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর অ্যাসুউম করে যোগদান করে কপি প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তিনি আমাকে অফিসের পিয়ন মারফত হোয়াটসঅ্যাপে অপর একটি আদেশ পাঠান। তাতে দেখা যায় আগে ১৫ নভেম্বর দেয়া অফিস আদেশটি ৬ দিন পর গত ২১ নভেম্বর রোহিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এ আদেশ আমাকে না দিয়ে একতরফা শুধু তার কাছে সরবরাহ করাটা দুঃখজনক। তার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে অনিয়মের বিষয়ে বিভাগীয় এবং দুদকের তদন্তও চলছে। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন তিনি।