রাজধানীর মগবাজার মধুবাগ মাঠে ছুরিকাঘাতে আহত আশিক মিয়া (১৯) নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা গেছে। তবে পুলিশ ধারণা করছে, ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনাট ঘটে। গতকাল আশিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিরঝিল থানা পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আশিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গত মঙ্গলবার বিকালে মধুবাগ মাঠে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটে। মৃত আশিক কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার ভংগাচর গ্রামের রিকশাচালক শেখ ফরিদের ছেলে। সে মীরবাগ এলাকায় থাকত ও পেশায় মোটর গ্যারেজে কাজ করত। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে আশিক ছিল বড়। নিহতের মা শাহনাজ বেগম জানান, বেড়ানো শেষ করে ছেলেকে নিয়ে ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার গ্রামের বাড়ি থেকে দুপুরের দিকে মীরবাগ এলাকার বাসায় পৌঁছাই। ঐদিনই আসরের পর ফোনে জানতে পারি আশিককে নজরুলের ছেলে ছুরি মেরেছে। তাকে মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তখন তিনি হাসপাতালে গিয়ে আশিককে আহত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি আরো জানান, সেই সময় আশিকের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিলে যে, কথা বলতে পারছিল না। পরে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে শাম্মি খান নামে এক নারী জানান, তাদের বাসা মধুবাগ এলাকায়। ঘটনার দিন একটি ছেলে বাসায় খবর দেয় মধুবাগ মাঠের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আশিক। সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে আশিককে একটি সিএনজি ভাড়া করে মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়ার পাশাপাশি আশিকের মাকে খবর দেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আশিক তাকে বলে, মইনুদ্দিন, তানভির, জাহাঙ্গির বেলাল এবং রাসেল তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। শাম্মি আরো জানান, আমার ছেলে ও রাসেল জড়িত ছিল বলে আশিকের চিকিৎসার সমস্ত খরচ আমি নিজেই করি। তবে আশিককে আর বাঁচানো যায়নি। হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তমেজ উদ্দিন আশিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ৯ জানুয়ারি মধুবাগ মাঠের পাশে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছিল যুবক আশিক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মারা যায় সে। আশিকের পিঠে একটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে তবু বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।