ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঠান্ডাজনিত রোগ

ধারণক্ষমতার ৭ গুণ রোগী ভর্তি শেবাচিম হাসপাতালে

ধারণক্ষমতার ৭ গুণ রোগী ভর্তি শেবাচিম হাসপাতালে

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দক্ষিণাঞ্চল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ উঠলেও তাতে শীতের তীব্রতা কমাতে পারছে না। কয়েক দিনের ঠান্ডা আবহাওয়ায় বরিশাল বিভাগে দিনে দিনে বাড়ছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। রোগী বাড়লেও চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিভাগের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। হাসপাতাল প্রশাসন বলেছে, গত এক সপ্তাহে ধারণক্ষমতার ৭ গুণের বেশি রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ২৭৩ জন ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া নিয়ে ৫৪ জন, ডায়রিয়ায় ১১৮ জন এবং ঠান্ডাজনিত অন্যান্য রোগে ১০১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জানা গেছে, উপকূলীয় ভোলা ও পটুয়াখালীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দুভাব বেশি। শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় পটুয়াখালীতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন, ভোলায় ২৪, বরিশালে ৩, পিরোজপুরে ৮, বরগুনায় ৪ ও ঝালকাঠিতে ২ জন। ডায়রিয়ায় ভোলায় ৪৮, পটুয়াখালীতে ২৩, পিরোজপুরে ১২, বরিশালে ১৭, বরগুনায় ৭, ঝালকাঠিতে ১১ জন। ঠান্ডাজনিত অন্যান্য রোগে সবচেয়ে বেশি ভর্তি হয়েছেন পটুয়াখালীতে ৬১ জন। এ ছাড়া ঝালকাঠিতে ৩১, বরিশালে ৪ জন। এছাড়া জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহির্বিভাগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীর চাপ বহুলাংশে বেড়েছে। এর অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হলেও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাসায় ফিরছেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানিয়েছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ড রোগীতে পরিপূর্ণ। বর্তমানে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী ভর্তি আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত