জব্দ করা এস্কাভেটর লুটের ঘটনায় মামলা
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের পাহাড় কাটায় ব্যবহৃত এস্কাভেটর লুটের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে এস্কাভেটরটি গত ১৫ জানুয়ারি জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুসের জিন্মায় দিয়েছিল প্রশাসন। ১৬ জানুয়ারি সকালে তাকে মারধর করে লুট করা হয় সেই এস্কাভেটর।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস বাদি হয়েছে কক্সবাজার সদর থানায় গত বুধবার রাতে মামলাটি করেন। গতকাল বিকালে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এজাহারে সাতজনের নাম উল্লেখ করে দায়ের করাটি মামলাটি সংশ্লিষ্ট আইনে নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
মামলার বাদী মোহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, গত ১৫ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কলাতলীর বাইপাস এলাকার বিকাশ বিল্ডিং থেকে একটি এস্কাভেটর জব্দ করে তাকে জিম্মায় দেয়। পরের দিন সকালে তাকে মারধর এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে প্রশাসনের জব্দ করে জিম্মায় দেয়া এস্কাভেটর ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল অস্ত্রধারী। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে সহযোগিতা চান তিনি। কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই তারা এস্কাভেটর নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ছিলেন। পরে ইউএনও-এসি ল্যান্ডকে অবহিত মামলাটি দায়ের করেন।
দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- কক্সবাজার শহরের কলাতলীর মৃত জাফর আলমের ছেলে নুরুল আমিন ও নুরুল আলম ভুট্টো, লিংক রোড়ের নুরুল আমিন মুন্না, লাইট হাউজ এলাকার মো. মনির, কলাতলীর মঈনুল হোসেন, মোহাম্মদ শাকিল ও মোহাম্মদ আলম। এদিকে, গত ১৫ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে লাইট হাউজ এলাকায় সীলগালা করে দেয়ার পর তা ভেঙে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির পাশা পল্লব। এলাকাবাসী জানিয়েছে যেখানে এখন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাহারায় রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা জানিয়েছেন, কোনোভাবে পাহাড় কাটতে দেয়া হবে না। একবার অভিযানের পর তা অমান্য করে আবারও পাহাড় কাটার খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলা হচ্ছে। আবারও অভিযান হবে।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল’র প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ। তিনি দ্রুত পাহাড়কাটা বন্ধসহ জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।