চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মমতাজ বেগম রিক্তা (৩৫) নামে এক নারী বিউটিশিয়ানকে গলাকেটে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহ কম্বল পেঁচিয়ে ঘরের ভেতর টয়লেটে রেখে দিয়ে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত বুধবার রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারি এলাকার বেপারি বাড়িতে রিক্তার বসতঘরে। ওই উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারি এলাকার বেপারি বাড়ির মৃত এমদাদ উল্লাহ্র মেয়ে। পুলিশ জানায় রিক্তা স্থানীয় গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বধূবরণ বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রিক্তা নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। তার স্বামী প্রবাসী এবং তাদের কোনো সন্তান না থাকায় মৃত বোনের একমাত্র ছেলে বাপ্পিকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। বাপ্পি গৃদকালিন্দিয়া বাজারে একটি মোবাইল দোকানে মোবাইল মেরামতের কাজ করেন। রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে তার খালা রিক্তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানান। বাড়ির লোকজনসহ ঘরে প্রবেশ করে টয়লেটের ভেতরে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় তার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ রিক্তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে। প্রায় দশ বছর পূর্বে চট্টগ্রামে রিক্তার বিয়ে হয়েছে। রিক্তার স্বামী রাকিবুল হাসান দুবাই প্রবাসী। গত দুই মাস পূর্বেও তিনি ছুটি কাটিয়ে গেছেন। তাদের কোন সন্তান নেই। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার তদন্ত (ওসি) প্রদীপ মন্ডল জানান, খুনের বিষয়ে খবর পেয়ে পুলিশ রিক্তার মরদেহ উদ্ধার করে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড এবং এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেয়া হবে।