সবাইকে অবশ্যই ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র গড়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস উগান্ডায় গতকাল শনিবার জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনে এ কথা বলেন। সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু টেকসই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে তার বিরোধিতা পুনরায় নিশ্চিত করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ সম্মেলনে গুতেরেস জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের জন্য দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের রাষ্ট্র গড়ার অধিকার অস্বীকার অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরো বলেছেন, এ ধরনের অবস্থান সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করবে, যা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। এছাড়া এ কারণে মেরুকরণ এবং সর্বত্র চরমপন্থিরা উৎসাহিত হবে। গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার সবাইকে স্বীকৃতি দিতে হবে। উল্লেখ্য, গত ৭ই অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ইসরাইলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালানোর পর ইসরাইলও গাজায় পাল্টা নির্বিচারে হামলা শুরু এবং হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করে। গাজায় ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ হাজার ৯২৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় লোকদের বসবাসের অমানবিক পরিস্থিতি তৈরির নিন্দা জানিয়েছে। কারণ ইসরাইলি হামলায় অসংখ্য বাস্তুচ্যুত লোক গাজায় মানবেতর দিনযাপন করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার গুতেরেস অবিলম্বে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে আবারও অগ্রাহ্য করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের উচিত সব ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের নিরাপত্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা। তার এই শর্ত একটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ‘বিপরীত’। গত শনিবার এ মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু। যদিও গাজায় সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের দেওয়া দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে নেতানিয়াহু উড়িয়ে দেননি বলে গত শুক্রবার দাবি করেছিলেন জো বাইডেন। তবে বাইডেনের এই কথাকে পরদিনই উড়িয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শুক্রবার ফোনে কথা বলেন। ফোনালাপে তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন। এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর দপ্তর বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।