ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ও পরিকল্পনা কমিশন গঠন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ও পরিকল্পনা কমিশন গঠন

নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর নতুন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) ও বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সব সদস্য, কমিশনের সদস্য থাকবেন।

সহায়তাদানকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব। এনইসি সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত নীতি ও কৌশল গ্রহণে দিকনির্দেশনা প্রদান; দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও কর্মপন্থা চূড়ান্তকরণ এবং অনুমোদন প্রদান; দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে।

এছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের দায়িত্ব পালনে সহায়ক বিবেচিত যে কোনো কমিটি গঠন করবে এনইসি।

পরিষদের বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনা বিভাগ পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দিবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনেরও চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনা কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী, ভাইস চেয়ারম্যান পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা হবেন সদস্য। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

পরিকল্পনা কমিশন রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর সিডিউল-১ এ বর্ণিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত পরিকল্পনা কমিশনের জন্য নির্ধারিত কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। চেয়ারপারসনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা; জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ কর্তৃক অনুমোদনের নিমিত্ত উপস্থাপনের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া চূড়ান্তকরণ; জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে উপস্থাপনের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন পর্যালোচনা ও হালনাগাদকরণের নির্দেশনা প্রদান; জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি পর্যালোচনা এবং জাতীয় পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিষয়াবলি সম্পর্কে আন্তঃমন্ত্রণালয় মতপার্থক্য দূর করার কজ করবে। প্রয়োজনে পরিকল্পনামন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভা করা যাবে এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব; প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব/সচিব; পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব; অর্থ বিভাগের সচিব; অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃমন্ত্রণালয় মতপার্থক্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি/প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। কমিশনের বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনবোধে কমিশন নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে। পরিকল্পনা বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভা খসড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও খসড়া সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদনের নিমিত্ত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত