ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তারেক জিয়ার শাস্তি কার্যকরে যা করা দরকার করা হবে

তারেক জিয়ার শাস্তি কার্যকরে যা করা দরকার করা হবে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাস্তি কার্যকরে যা যা করা দরকার সরকার তা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে গতকাল ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন হাইকমিশনার। এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, দেখুন তারেক রহমান শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। আমাদের সরকার যে কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামির শাস্তি কার্যকর করতে চায়। তারেক রহমানকে উপযুক্ত সময়ে সরকার তার শাস্তি কার্যকর করার জন্য যা যা করার দরকার সেটা করবে।

যুক্তরাজ্যে থাকা প্রবাসীদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা লিগ্যালি (বৈধভাবে) থাকেন, অনেকের পরিবার নিতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেগুলো যেন সহজ হয় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যে অনেকে ইলিগ্যাল (অবৈধ) আছেন, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ককে আরো গভীর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা আইসিটি সেক্টর নিয়ে, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে এবং আমাদের মুদ্রাস্ফীতি হার কমানোর ব্যাপারে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংক অব ইউকের সহযোগিতা শুরু হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেক্স জিডিপি রেশিও’র সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু ইস্যুতে আমরা কাজ করছি। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা হয়েছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের দেওয়া অভিনন্দন বার্তা ড. হাছানকে হস্তান্তর করেন বলে জানান মন্ত্রী। ব্রিটিশ হাইকমিশনার মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার নিয়ে সে রকম বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। মানবাধিকার সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, বাংলাদেশ; এমনকি চায়নার জন্য একটা বিষয়। সব দেশ মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করছে। আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত