সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে স্বস্তি ফিরেছে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালী জমির মালিকদের মাঝে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ খলিশাখালী জমির ১৬৮/২১ মামলার আপিল শুনানি শেষ করেন। এ সময় বিচরপতি ওবাইদুল হাসান, বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম, বিচাপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মামলার শুনানি গ্রহণ করে। শুনানি শেষে আদালত বলেন, যেহেতু যুগ্ম জেলা জজ আদলতে মূল মামলা (মামলা নং ১৮/২০১০) ৩০/০৮/২০১৮ তারিখে খারিজ হয়েছে সেহেতু এই মামলার অস্তিত্ব নেই, নতুন ভাবে মামলার শুনানিরও প্রয়োজন পড়ে না। বিধায় আদালত আপিল খারিজ করেন। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৪ ফ্রেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্ট আদেশ দেন এই সম্পত্তি মামলা চলাকালীন ব্যবস্থাপনা করবেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক। কিন্তু জেলা প্রশাসক ভূমি কর্মকর্তার মতামত ও জিপির মতামতের ভিক্তিতে এবং দলিল পর্যালোচনা করে মতামত দেন যে এই জমি ব্যক্তি মালিকানাধিন, এখানে সরকারের কোনো স্বার্থ জড়িতে নেই। তাই নতুন মামলা করার এবং মামলার পক্ষভুক্ত হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বর্তমানে জমির মালিকরা ভোগদখল-পূর্বক জমিতে ফসল ও মাছ চাষ করছেন। আদালত আগেই স্পষ্ট করে রায় দেন যে, এই জমি-সংক্রান্ত বিষয়ে জমির মালিক এবং সরকার ছাড়া তৃতীয় পক্ষের কোনো ভূমিকা নেই এবং যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে সরকার নিজে উদ্যোগ নেবে। প্রসঙ্গ, গত কয়েক বছর ধরে স্বার্থান্বেষী তৃতীয় পক্ষ এই খলিশাখালী জমি নিয়ে বিভিন? অপপ্রচার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সক্রিয়তায় তারা সফল হয়নি।
