চকরিয়ায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি আগর বাগান বেহাত

বসতবাড়ি নির্মাণ ও গাছ লাগানোর অভিযোগ

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন হারবাং বনবিটের অধীনে সরকারি আগর বাগান নিধন ও বনভূমি জবর দখলে নিয়ে সেখান বসতবাড়ি নির্মাণ ও কলাগাছ রোপণের অভিযোগ উঠেছে জয়নাল আবেদীন নামে এক উপকারভোগীর বিরুদ্ধে। জানা যায়, ২০০২-০৩ অর্থ বছরে সরকারের পক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার মাধ্যমে আগর বাগান সৃজনের লক্ষ্যে হারবাং এর ১৭ জন উপকারভোগীর নামে ১৬.৯২ হেক্টর বনভূমির চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হয়।

এ চুক্তিপত্রের অন্যতম শর্তাবলী ছিল সৃজিত আগর বাগান ও সরকারি বনভূমির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে উপকারভোগীদেরই। এছাড়া শর্তাবলীতে আরো উল্লেখ করা হয় আগর বাগান দখল করে যেকোনো ধরনের বসতবাড়ি নির্মাণ বা বৃক্ষরোপণ করা যাবে না।

কিন্তু অভিযোগ উঠেছে এসব উপকারভোগীদের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দিনদিন চুরি হয়ে যাচ্ছে সরকারিভাবে সৃজিত আগর বাগানের গাছ। আর এ সুযোগে একশ্রেণির লোভী উপকারভোগী আগর বাগান ও বনভূমি জবর দখল করে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ ও অন্যান্য ফলজ বৃক্ষরোপণ করছে। যার ফলে এসব লোভী উপকারভোগীদের কারণে সরকারের মহৎ উদ্যোগই আজ ভেস্তে যেতে বসেছে। আর এসব কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে নাম উঠে এসেছে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের ১১নং উপকারভোগী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ চুক্তিবিধি ভঙ্গ করে কতিপয় লোভী উপকারভোগী অন্তত ৫ কোটি টাকা সমমূল্যের আগর বাগান দখল করে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ এবং কলাগাছ রোপণ করে নিয়েছে। আর এ ব?্যাপারে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগও রয়েছেন রহস্যজনক ভূমিকায়। এলাকার লোকজনের দাবি বন কর্মকর্তাদের এমন রহস্যজনক ভূমিকার কারণে দিনের পর দিন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে সরকারিভাবে সৃজিত আগার বাগানগুলো।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংরক্ষিত সরকারি আগর বাগানের আগর গাছ কেটে কিংবা তৎসংশ্লিষ্ট ভূমিতে কোনো ধরনের বসতি স্থাপন বা কলাগাছ রোপণ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অন্যায়। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।