বিশ্ব জলাভূমি দিবসে রামসার ঘোষিত বিশ্বের বৃহত্তম জলাভূমি সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি সুরক্ষায় দাবি জানিয়ে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। সমুদ্রের পানিতে লবণাক্ততা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, সুন্দরবনের অভ্যন্তরের খালে বিষ প্রয়োগ, বন্যপ্রাণী হত্যা, পাচারসহ দখল-দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সুন্দরবন। ইকোসিস্টেম যা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সুন্দরবন জলাভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন ও জলবায়ু সংকট থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতিসহ জলাভূমি রক্ষা বিশ্ব জলাভূমি দিবসে মানববন্ধনে পরিবেশবাদীরা এমন দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রামসার ঘোষিত বিশ্বের বৃহত্তম জলাভূমি সুন্দরবনের পরিবেশ, উপকূল সুরক্ষা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল এবং কৃষি ও পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুন্দরবন এলাকার মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য জলাভূমির উপর নির্ভর করে। ১৯৯২ সালে সুন্দরবনকে রামসার জলাভূমি ঘোষণা করে জাতিসংঘ। সুন্দরবনের এই জলাভূমি জীববৈচিত্র্যের ভাণ্ডার। এ সময় মানববন্ধন থেকে মানব ও প্রকৃতির স্বার্থেই সুন্দরবন জলাভূমি সংরক্ষণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানানো হয়। গতকাল সকালে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের সুন্দরবন সন্নিহিত মোংলা উপজেলার কাপালিরমেঠ বিলে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষ্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ, পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সুতপা বেদজ্ঞ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) নেতা সৈয়দ মিজানুর রহমান, গীতিকার মোল্লা আল মামুন, পরিবেশকর্মী ইদ্রিস ইমন, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার জেলে সমিতির নেতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র কমলা সরকার, হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী ফাতেমা জান্নাত প্রমুখ।