প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। এ আয়োজন উপলক্ষ্যে শুক্রবারেও মেট্রোরেল চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রকাশক, লেখক, পাঠক সবাই। সাধারণত বইমেলা শুরু হলে উত্তরা-মিরপুর সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন নিত্য-নৈমিত্তিক যানজট ঠেলে শাহবাগ আসতে পারতেন না বা চাইতেন না। তবে এবার কর্মজীবীসহ সবস্তরের বইপাগল মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে মেট্রোরেল। যে কারণে প্রকাশক, লেখক-পাঠক সবাই মেট্রোরেলের সমসাময়িক সুবিধার কথা জানিয়ে দাবি করছেন- সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও যেন মেট্রোরেল চালু করা হয়। দাড়িকমা প্রকাশনীর প্রকাশক আলমগীর রুমির বাসা ও কার্যালয় মিরপুরে। বইমেলায় স্টলের কাজে গত দুই সপ্তাহে প্রতিদিনই তাকে যেতে হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা প্রাঙ্গণে। মেট্রোরেল থাকায় তিনি অনায়াসে যাতায়াত সুবিধা পেয়েছেন। আলমগীর রুমি বলেন, বছর ঘুরে আবারও আসা ফেব্রুয়ারি ভাষা ও লেখক-প্রকাশক-পাঠকের মাস। মেলা প্রাঙ্গণে বইয়ে ঠাসা শত শত প্যাভিলিয়ন, হাজারো নতুন বই ও লাখো পাঠকের উপস্থিতিতে রমরমা হবে বইমেলা। বাংলা সাহিত্য পাবে নতুন সম্পদ, সাহিত্যের ইতিহাস পাবে আগামীর লেখক। মেট্রোরেলের কারণে এবার বইমেলায় আসা সবার জন্যই সহজ হবে। ছুটির দিনও যদি মেট্রোরেল চালু থাকে তাহলে স্বাচ্ছন্দ্যে বইমেলায় সবাই আসতে পারবেন। তিনি নিয়মিত মেলায় আসেন ঘুরতে ও বই কিনতে। নিজের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মেট্রোরেল একটি গণপরিবহন। গণপরিবহন শুক্রবার বন্ধ রাখা উচিত না। একইসাথে বইমেলার এ মাসে মেলায় প্রচুর মানুষ আসবেন। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের উচিত শুক্রবারও মেট্রোরেল চালু রাখা। এ বিষয়ে একুশে বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য ও আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি বলেছন, আমরা দাবি করছিলাম মেট্রোরেলের সময় বৃদ্ধির। সেটা ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হওয়ায় এবার বইমেলায় পাঠকের পরিমাণ বাড়বে। মিরপুর-উত্তরার মানুষ আগে বইমেলায় আসতে পারতেন না যানজটের কারণে। এবার আসতে পারবেন অনায়াসে। শুক্রবারে মেট্রোরেল চললে আরও বেশি সংখ্যক পাঠক বইমেলায় আসতে পারবেন। লেখক-প্রকাশক আর পাঠকদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেছেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা ও বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. কেএম মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, শুক্রবারে মেট্রোরেল চালু হলে সুবিধা হবে। শুধু বইমেলাকে কেন্দ্র করেই নয়, বছরের প্রতিদিনই মেট্রোরেল চালু রাখার দাবি করেছেন শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, শুক্রবারে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকরির পরীক্ষা হয়। মেট্রোরেল চালু থাকলে সব পরীক্ষার্থীরই সুবিধা।