আয়া পদে চাকরি প্রার্থী ফাতেমা
মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে বিবাদী করে প্রতারণা, মামলা তদন্তের নির্দেশ
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গোন্তা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে বিবাদী করে আদালতে প্রতারণা মামলা করা হয়েছে। এ মামলা করেছেন তাড়াশ সহকারী জজ আদালতে ওই মাদ্রাসার আয়া প্রার্থী ফাতেমা খাতুন। এ মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদের জন্য গত বছরের ২৭ জুন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এ বিজ্ঞপ্তি দেখে আয়া পদে বিধিমতে চাকরি আবেদন করেন ফাতেমা খাতুন। এছাড়া তার কাছ থেকে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চাকরি দেয়ার শর্তে মাদ্রাসার উন্নয়ন তহবিলের কথা বলে অধ্যক্ষ টি.আর. মো. আব্দুল মান্নান ৬ লাখ টাকা নেন। একই বছরের ২১ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়া হয় তাকে এবং একাধিক প্রার্থীর কাছে থেকে উৎকোচের টাকা নিয়ে চাকরি না দেয়ায় তারা মাদ্রাসা চত্বরে বিক্ষোভ করেন। এদের মধ্যে দুই প্রার্থী নিয়োগ কমিটির সামনেই পরীক্ষা কেন্দ্রে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মাদ আবু নঈম এই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেন। এদিকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করে পূর্বে বৈধ প্রার্থীদের প্রবেশপত্র না দিয়েই নিয়োগ সম্পন্ন করেন। কিন্তু ওই অধ্যক্ষ ভুক্তোভোগী ফাতেমার কাছে থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে নেয়া ৬ লাখ টাকার মধ্যে ২ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয় এবং বাকি ৪ লাখ টাকা আর ফেরত দেননি। এতে ভুক্তোভোগী বৃহস্পতিবার তাড়াশ সহকারী জজ আদালতে এ মামলা করেন। আদালত এ মামলা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। এ মামলার বাদী ফাতেমা বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বেই ২০২০ সালে ওই অধ্যক্ষ আমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছেন এবং যার ভিডিও সংরক্ষিত আছে। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ টি.আর মো. আব্দুল মান্নান অস্বীকার করে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, নিয়োগ বোর্ড ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশেই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। আয়া পদপ্রার্থী ফাতেমার ওই টাকা উৎকোচ গ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।