ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য বাণিজ্যভিত্তিক

সেমিনারে বক্তারা
নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য বাণিজ্যভিত্তিক

পরিবেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের নবায়নযোগ্য শক্তি নির্ভরতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, নীতিনির্ধারকরা এ নিয়ে অনেক কথা বলেন, কিন্তু তা বাণিজ্যভিত্তিক। তারা কাজও করবেন সেভাবেই। গতকাল শনিবার সকালে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির দুই দিনব্যাপী দ্বিতীয় জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় নবায়নযোগ্য শক্তি বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিল্পায়নের আগামী স্লোগান সামনে রেখে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য অর্জনে শ্রমিকের মানবাধিকার ও সমতা নিশ্চিত করা এবং জাতীয়ভাবে জীবাশ্মণ্ডজ্বালানিভিত্তিক শক্তিতে বিনিয়োগ হ্রাসের দাবিতে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমানো, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা নিয়ে আমাদের কর্মপরিকল্পনা অনেক, কিন্তু বাস্তবায়ন কম। আমরা পরিবেশ বাঁচানোর কথা বলছি। আমরাই আবার সুন্দরবনের গাছ কাটছি, বান্দরবানে বাঁধ দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছি।

তাই তরুণদের এগিয়ে আসা জরুরি। এসব বিষয়গুলো নিয়ে তাদের কাজ করতে হবে। না হলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া কঠিন হবে। বিতর্ক প্রতিযোগিতার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড ক্লাইমেট জাস্টিস এবং ন্যাচারাল রাইটস বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইমরান হাসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের টেকসই ও পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য শক্তি এবং আরএমজি খাতের বিকল্প জ্বালানির সম্ভাবনা ও গুরুত্ব উঠে আসে। আরএমজি খাত ৯৭ শতাংশ জীবাশ্মণ্ডজ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। যদিও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। কিন্তু আরএমজি খাতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা ও পরিকল্পনা না থাকায় লক্ষ্য অর্জনে খুব সামান্যই এগোতে পেরেছে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, সরকারি তিতুমীর কলেজ ঢাকা, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান-ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি), তেজগাঁও কলেজ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত