পাবনায় প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষক আসলাম আলী। নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি বাজারে নিয়ে এসেই বাজিমাত করেছেন তিনি। ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে রঙিন ফুলকপি। দেড় বিঘা জমিতে রঙিন ফুলকপির আবাদ করে ফলনও হয়েছে ভালো। কৃষক আসলাম আলী ভাল দাম ও ফলনে খুশি। কৃষক আসলাম আলীর সাফল্য দেখে এলাকার অন্য কৃষকদের আগ্রহ বেরেছে রঙিন ফুলকপি আবাদে। পাবনা সদর উপজেলার বিলভেদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী। প্রতি বছর শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করে সংসার চালাতেন তিনি। ইউটিউবে রঙিন ফুলকপির কিছু ভিডিও দেখার পর এই জাতের কপি চাষের প্রতি আগ্রহী হন আসলাম। ঢাকা থেকে নিয়ে আসেন বেগুনি রঙের ভেলেনটিনা ও হলুদ রঙের কেরটিনা জাতের রঙিন কপির বিজ। তারপর দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৬ হাজার কপি গাছ রোপণ করেন। প্রথম আবাদেই তিনি সাফল হয়েছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। ভেলেনটিনা ও কেরটিনা জাতের রঙের ফুলকপি বাজারে নিয়ে এসেই বাজিমাত করেন আসলাম। রঙিন কপির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় দাম পাচ্ছেন ভালো। রঙিন ফুলকপি প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষক আসলাম আলী জানান, শুরুতে কেউ বিষয়টা নিয়ে উৎসাহ দেননি। তবে বাম্পার ফলন আর ভালো দাম পাওয়ায় এখন সবাই খুশি। এখন আমার খেতের হলুদ আর বেগুনি রঙের বিদেশি জাতের কপি দেখতে ভিড় করছেন মানুষ। বাজারেও রঙিন ফুলকপির চাহিদা ও দাম বাড়ায় ভালো লাভের আশা করছেন তিনি। তিনি আরো জানান, এক বিঘা জমিতে রঙিন ফুলকপি আবাদে তার খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৮ হাজার টাকা। তার দেড় বিঘা জমির রঙিন ফুলকপি প্রায় দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এলাকার অনেকেই এখন নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি আবাদের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। এ ব্যাপারে পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, অনেক দিন ধরেই জাপান-ইন্দোনেশিয়ার মতো আমাদের দেশে রঙিন কপি আবাদ হচ্ছে। তবে এখনো আমরা বাণিজ্যিকভাবে এর আবাদ শুরু করতে পারিনি। ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ কেউ ঢাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করছেন। যারা করছেন তারা লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরো জানান, রঙিন কপির পুষ্টি ও গুণগত মান সাদা কপির চেয়ে অনেক বেশি। রঙিন কপি আবাদে এখনো বাণিজ্যিকভাবে সুবিধা দিতে না পারলেও আমরা আগ্রহী কৃষকদের সবসময় সহযোগিতা করছি। কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা কৃষকদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছেন।