র‌্যাবের অভিযান

ওষুধ ও খাদ্যপণ্যসহ পাচার চক্রের দুই সদস্য আটক

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সাগর উপকূল দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ‘মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদকালে’ বেশ কিছু ওষুধ ও খাদ্যপণ্যসহ পরিবহনকাজে ব্যবহৃত গাড়ি জব্দ করেছে র‌্যাব। এ সময় পাচারকাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। র‌্যাব জানিয়েছে, মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে ওষুধ, জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে উচ্চমূল্যে এসব পণ্য ও মালামাল পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি দেশের স্থানীয় বাজারে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।

গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র‌্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

আটকরা হলো, টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকার আবুল বশরের ছেলে আব্দুল মান্নান (২৪) এবং একই এলাকার মৃত হাছন আলীর ছেলে আলী হোসেন (৪৫)। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মিয়ানমার অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনীর সাথে আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দেশটির ওই রাজ্যে জ্বালানি তেল, ওষুধ ও খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত লাগোয়া ওই রাজ্যের সংকটজনক এই পরিস্থিতিতে এসব পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ী ও সংঘবদ্ধ একটি পাচারকারি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে র‌্যাব সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। গত সোমবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকায় জনৈক আবুল বশরের বাড়িতে সংঘবদ্ধ পাচারকারি চক্রের কতিপয় লোকজন বেশ কিছু পণ্য প্রতিবেশী দেশে পাচারের জন্য মজুদ করেছে খবরে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪-৫ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।