ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রবিতে বর্ণাঢ্য বসন্ত বরণ উৎসব

রবিতে বর্ণাঢ্য বসন্ত বরণ উৎসব

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপিত হয়েছে বসন্ত বরণ উৎসব। ফাল্গুনের প্রথম দিনের বুধবার সকালে রবির শিক্ষার্থীরা আনন্দমুখর পরিবেশে একাডেমিক ভবন-১ থেকে শোভাযাত্রাসহ একাডেমিক ভবন-৩ এ পৌঁছে। প্রধান অতিথি হিসেবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। শোভাযাত্রা শেষে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বসন্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নানামাত্রিক সৃষ্টিকর্মে উদ্দীপিত-উৎসাহিত করেছে। তিনি বসন্ত নিয়ে লিখেছেন অসংখ্য গান-কবিতা। তার অমর সৃষ্টি-‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়’। মনে পড়ছে ‘ফাল্গুনী’, ‘বসন্ত’ নাটকের কথা। ঋতুরাজ বসন্তকে রবীন্দ্রনাথ দেখেছেন নতুন প্রাণের বার্তাবাহক হিসেবে। জীবনে নতুনের আহ্বানের উদ্বোধক হিসেবে। রবি তাই বসন্তকে আবাহন করে কবিগুরুর বসন্ত উদযাপনার অনুসরণে। আমরা প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তকে আবাহনের মাধ্যমে ফুলে ফুলে ভরে যাওয়া বাংলার সবুজ প্রান্তরকে নতুন করে বরণ করি। জরাজীর্ণ শীতের পর বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। বসন্ত অনন্ত সম্ভাবনার ঋতু; প্রেম, বিরহ, মিলন, দ্রোহ-সংগ্রাম, বিজয় অর্জনের স্মৃতিময় সময়খণ্ডের অনন্য নাম বসন্ত। বসন্ত মানে নতুন করে জেগে ওঠা, নতুন আনন্দে-আশায় রঙিন হয়ে ওঠার সময়। এই শুভক্ষণে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক-ক্ষুদ্রতা, পুরাতনকে পরিহার করে, বিভেদণ্ডব্যর্থতা ভুলে, নতুন প্রত্যয়ে, নতুন শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হবার। তিনি আরো বলেন, ১৯৫২ সালের ৮ই ফাল্গুন ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, সফিকসহ নাম না জানা আরো অনেকে। সে আত্মত্যাগ আজ বিশ্বস্বীকৃত। বারবার ফিরে আসুক ফাল্গুন, আসুক বসন্ত, শোক নয়, দুর্বিনীত সাহস আর অপরিমেয় শক্তি হয়ে। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ, রবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলাম, রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান। এ সময় রবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত