ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

একযুগ আগে নিখোঁজ নূরকে স্বজনের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ

একযুগ আগে নিখোঁজ নূরকে স্বজনের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ

দীর্ঘ এক যুগ আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়া সুনামগঞ্জের আলম নূরের (৪৫) সন্ধান মিলেছে বরিশালে। আর একযুগ পর তাকে ফিরে পেয়ে আত্মহারা নূরের স্বজনরা। তারা ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের সদস্যদের প্রতি।

নূর আলমের বড় ভাইয়ের ছেলে হাবিবুর রহমান শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় এসে তার চাচাকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এর আগে থানায় বসে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমে আলম নূর তার একমাত্র মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। আলম নূর হারিয়ে যাওয়ার সময় তার একমাত্র মেয়ে শিশু থাকলেও আজ সে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাবা ও মেয়ের কথোপকথনের সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো: তৌহিদুজ্জামান বলেন, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফয়জুর রহমানের ছেলে আলম নূর। যার স্ত্রী ও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় এক যুগ আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে আলম নূর হারিয়ে যায়। এরপর তার স্বজনরা বিভিন্নস্থানে সন্ধান চালিয়েও দীর্ঘ ১২ বছরে কোনো খোঁজ পাননি। অপরদিকে চাচাকে ফিরে পেয়ে আলম নূরের বড় ভাইয়ের ছেলে হাবিবুর রহমান আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, তারা বিভিন্ন জায়গায় আলম নূরের সন্ধান করেও ব্যর্থ হয়েছেন। অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন তিনি (আলম নূর) আর বেঁচে নেই।

উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাফর আহমেদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আলম নূর সাতলা এলাকার একটি বাড়ির আঙিনায় সন্দেহজনকভাবে প্রবেশ করে। ওই বাড়ির লোকজন চোর সন্দেহে তাকে আটক করে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ কালে তার অসংলগ্ন কথাবার্তায় বোঝা যায় ওই ব্যক্তি কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী। পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার বাবার নাম ফয়জুর রহমান এবং ছাতক থানা বলতে পারলেও আর কিছুই বলতে পারেননি। এরপর ছাতক থানায় বার্তা পাঠানোর পর তারা নোয়াপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে অনুসন্ধান চালানোর পর অল্পসময়ের মধ্যেই নোয়াপাড়া গ্রামে আলম নূরের স্বজনদের খোঁজ মেলে।

ওসি বলেন, স্বজনদের খোঁজ মেলার পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাদের কথা বলানো হয়। এরপর স্বজনরা নিশ্চিত হয়ে বরিশালের উদ্দেশে আসার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আলম নূরকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আলম নূরের স্ত্রী সিলেট এলাকার একটি হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত