সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার এএসআই সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে মাদক তল্লাশির নামে এক আদিবাসী গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় গঠিত কমিটির তদন্তে সত্যতা মেলেনি। তবে প্রশাসনিক কারণে তাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, গত মঙ্গলবার রাতে ওই এএসআই মাদক তল্লাশির নামে উপজেলার গুড়পিপুল যশাইপাড়া গ্রামের এক আদিবাসী গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিওতে ওই নারী ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিচার দাবি করে। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয় এবং তার নির্দেশে সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া-তাড়াশ সার্কেল) এএসপি অমৃত কুমার সূত্রধরকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে ঘটনার তদন্তে দেখা যায় ওই নারী ভাত পচিয়ে দেশি মদ তৈরি করত। পুলিশের এএসআই যখন মাদকের অভিযানে যান, তখনও ওই নারী একটা পাতিলে ২ কেজি চালের ভাত পচাচ্ছিল। ওই নারী দাবি করে তার এক আত্মীয় আসবে। সেজন্য এ ভাত রান্না করা হয় এবং পরে পাতিল থেকে ভাত ফেলে দেয়া হয়। এছাড়া গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় সত্যতা মেলেনি। ওই ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে তাকে কথাগুলো কেউ শিখিয়ে দিচ্ছে। তবে মাদকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে গেলে এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তার সঙ্গে যেতে হয়। ওই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) যেহেতু তা করে নাই। সেজন্য গত শুক্রবার রাতে তাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।