সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হরিণাহাটা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার অবৈধ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধসহ পুরো বিষয়টির ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। নতুন কমিটি নির্বাচন, নতুন সদস্য ও ভোটার তালিকাসহ অনান্য বিষয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ করেছেন ওই মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি এবং ওই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হারুনুর রশিদ ওরফে হারেজ মাস্টার (অব. প্রধান শিক্ষক)। গতকাল দুপুরে এ লিখিত অভিযোগ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচিত এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বরাবর এ অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগে প্রকাশ, ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার মুহূর্তে কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও কমিটির সদস্য সচিব সুপার ফরিদুল ইসলামসহ অন্যদের যোগসাজসে গোপন বৈঠকে পুনরায় নতুন কমিটির সদস্য নির্বাচন করা হয়। এসব সদস্যর বিষয়ে আমিসহ গ্রামবাসীর কেউ জানেনা কোথায় কীভাবে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে এবং দাতা সদস্য বাদ রেখে কবে কোথায় এ কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে সে বিষয়েও জানা যায়নি। এমনকি ওই গ্রামের কোনো ছাত্রীর অভিভাবককে এ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য করা হয়নি। স্বার্থজনিত কারণে সভাপতি ও সদস্য সচিবের মনগড়া এসব সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে এবং এসব সদস্যর মধ্যে অর্থ প্রদান, তাদেরকে চাপ সৃষ্টি ও স্বীয় স্বার্থের প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এ কারণেই তিনি তাদের সমর্থনে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছেন। বে-সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠেনের নিয়মনীতি উপক্ষো করে এসব সদস্য নির্বাচিত ও পুনরায় তাকেই সভাপতি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রোববার বিকালের দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে এ কমিটির সভাপতিকে ফের নির্বাচিত করার কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর আগে এ কমিটির সভাপতি মঞ্জু বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে খাগা গ্রামের অধিবাসী এবং তিনি ওই মাদ্রাসা স্থাপনের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই এবং তার কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি তিনি তার গ্রামের একজনকে ওই মাদ্রাসায় চাকরি দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন এবং আরো নিয়োগ বানিজ্যর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এলিজা সুলতানা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ অভিযোগ পত্রের অনুলিপি পেয়েছি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় তদন্ত সাপেক্ষে ওই কমিটি গঠনের কার্যক্রম বিষয়ে আইনগতব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।