সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক অসহায় পরিবারের ওপর হামলা ও বেদম মারপিট করেছে প্রভাবশালীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ চারজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম হায়দারকে (৪৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, গত শুক্রবার বিকালে ওই গ্রামের ভ্যানচালক দিনেশ মালাকারের মেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির পাশে বড়ই কুড়াতে গিয়ে খেলাধুলা করছিল। এ ঘটনার একপর্যায়ে ওই মেয়েকে বাড়ির আঙিনা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে তাদের সাথে কথাকাটাকাটি হয় এবং ওই আওয়ামী লীগ নেতা অন্যদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে দিনেশ মালাকারের স্ত্রী লিপি রানী দাশ (৪২) মেয়ে শান্তনা রানী দাস (২২), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অন্তরা রানী দাস (২০) ও দিশা দাসকে (১২) বেদম মারপিট ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে এবং তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে কানের স্বর্ণের রিং ও মালা ছিনিয়ে নেয়া হয়। তিনি আরো জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজা মুর্শিদ আলী গংদের সাথে পূর্বে বাড়ি নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে তারা এ হামলার ঘটনা ঘটায়। এ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্তনা ও কলেজছাত্রী অন্তরা দাসের ডান হাতে জখম হয়েছে। এ অভিযোগে গতকাল সকালে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দিনেশ দাস বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেন।