সিরাজগঞ্জে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েও সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০১২ সালে শালুয়া ভিটা সিনিয়র দাখিল মাদরাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদান করেন এবং ২০২১ সালে ওই ইউনিয়নের মেম্বার পদে নির্বাচিত হন।
তিনি এ দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতা নিচ্ছেন। তিনি সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ওই মাদরাসা থেকে ১২ হাজার টাকা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে ৩৬০০ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সম্মানি ভাতা পান ৪ হাজার ৪শ টাকা উত্তোলন করেন। এ বিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এলিজা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, এমপিওভুক্ত কোনো মাদরাসা বা স্কুল, কলেজের শিক্ষক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে যেকোন এক প্রতিষ্ঠান হতে সরকারি বেতন-ভাতা নিতে পারবেন। তিনি ২ প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা নিয়ে থাকলে তা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। ইউপি মেম্বার সেরাজুল ইসলাম দুই জায়গা থেকে সরকারি বেতনভাতা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দুই জায়গা থেকে বেতন-ভাতা নেয়া যাবে না এই মর্মে আমার কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আফছার আলী বলেন, ২ প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন উত্তোলন করতে পারবে না। তবে সম্মানী ভাতা নিতে পারবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
