সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর দুটি ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্ঘাটন করায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা পেলেন পুলিশের সর্বোচ্চ বিপিএম পদক। তারা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সামিউল আলম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. জুলহাজ উদ্দিন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায় ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শকের নেতৃত্বে বেশ কিছু ক্লু-লেস মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়। এরমধ্যে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বেলকুচির ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদ্ঘাটন ও মাত্র ১২ ঘণ্টায় তাড়াশের ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদ্ঘাটনের বিষয়টি ছিল অন্যতম। এছাড়া তাড়াশের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সর্বহারা দলের বড় একটি দল গ্রেপ্তার করা হয়। এ সাফল্যসহ একাধিক ক্লু-লেস হত্যা মামলা, পুলিশের গাড়িতে ডাকাতি, উল্লাপাড়ায় বাস ডাকাতি, মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রকেট এজেন্টকে গুলি করে ডাকাতিসহ একাধিক ডাকাতির রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রায় ২২ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ওয়ান শুটার গান, একটি রিভলভার, তিনটি থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল, একটি এসএমজি, সাউন্ড গ্রেনেড, গুলি, ম্যাগাজিনসহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র। কয়েকটি মাদকের বড় চালান জব্দ ও শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেপ্তারেও তারা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। এদিকে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষ্যে ঘোষিত বিপিএমণ্ডপিপিএম পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ নামের তালিকায় ছিলেন সিরাজগঞ্জের ওই ২ পুলিশ কর্মকর্তা। মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ গ্রাউন্ডে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মেডেল পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগেও জুলহাজ উদ্দীন বিপিএম, পিপিএম পদক ও দুইবার আইজিপি ব্যাজ লাভ করেছেন। পদকপ্রাপ্ত ওই দুই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশে চাকরির মাধ্যমে যেখানেই দায়িত্ব পাই মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করি। যে কোনো পুরস্কার দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করে। এ পদক দিয়ে আমাদের আরো অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। এজন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তারা।