কেশবপুরে নার্সারি করে অল্প দিনে সফল আবু বক্কর

প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে ‘সরদার ছায়া বৃক্ষ নার্সারি’ তৈরি করে অল্প দিনে সফলতা পেয়েছেন মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিক। তিনি উপজেলার ভালুকঘর গ্রামের কৃতী সন্তান। কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভালুকঘর গ্রামের গনির মোড়ে ‘সরদার ছায়া বৃক্ষ নার্সারির’ প্রোপ্রাইটর মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিক। তিনি ২০১৮ সালে মাত্র ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেন বিভিন্ন ফুল, ফল ফলাদির ও বনজবৃক্ষের নার্সারি ব্যবসা। যার নাম ‘সরদার ছায়াবৃক্ষ নার্সারি’। তার নার্সারির চারা নিজ উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিক্রি করে থাকেন তিনি। আবু বক্কর সিদ্দিক আরো বলেন, মাত্র ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তার নার্সারির ব্যবসার যাত্রা শুরু। তিনি অন্যের জায়গা লিজ নিয়ে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন ৫ বছর আগে। এখন তার তিনটি নার্সারির ব্যবসা রয়েছে। তার নার্সারির বাগানে ফুল ফলাদির চারাসহ প্রায় দুই শতাধিক জাতের চারাসহ বর্তমানে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার নার্সারি চারা রয়েছে। যেসব ফুল ও ফলাদির চারা তার বাগানে পাওয়া যায় তা হলো, কমলা লেবু, দার্জিলিং কমলা লেবু, চায়না কমলা লেবু, নাগপুর কমলা লেবু, সিলেট নেট কমলা, ম্যান্ডোলিনা, পায়সা মালটা, ব্যারাকাটা মালটা, ১২ মাসি কাগজি লেবু, থাই কাগজি, সুগন্ধি লেবু, ইন্ডিয়া ১২ মাসি কাগজি লেবু, পেয়ারা থাই, পেয়ারা গোল্ডেন ৫, ৭ ও ৮, লটকন ফল, চায়না ৩ লিচু, বেদানা লিচু, মোজাফফর লিচু, থাই জামরুল, সাবেদা দেশি-বিদেশি, কদবেল, কলম কদবেল, কুল নারকেল, কুল কাশ্মেরী আপেল, বাউ কুল, আপেল কুল, গাজীপুর টক কুল। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রকারের আম, জলপাই, আমলকী, সুপারি, নারকেল, আইস ফল, আঙ্গুর দেশি-বিদেশি বেদানা, চালতার চারাসহ বহুজাতিক ফল ফলাদির শতাধিক নানা জাতের চারা তার নার্সারিতে পাওয়া যায়। শুধু ফল নয়, সেখানে বিভিন্ন প্রকারের ফুল গাছের নার্সারি চারা রঙ্গন, চায়না রঙ্গন, হাসনাহেনা, কামিনী, গন্ধরাজ, শিউলি ফুল, মিনি টগর, ইনকা, চায়না গন্ধরাজ, ইন্ডিয়া সেলোশিয়া, ক্যালেন্ডুলা, ডাইন থাস, গোলাপ দেশি-বিদেশি স্প্রাইট, চন্দ্র মল্লিক, কসমস রজনীগন্ধাসহ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ প্রকারের ফুল গাছের নার্সারি চারা পাওয়া রয়েছে।

এছাড়া বনজ বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে, বাগান বিলাস, রেনটি, মেহগনি, লম্বু, আকাশ, বকুল, অর্জুন, কাঁঠাল, হরতকি, বয়রা বট ও পাকড়ের চারা পাওয়া যায়। নার্সারির মালিক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক আরো বলেন, বর্তমান তার নার্সারিতে যে ফুল ও ফলাদির নার্সারির চারা আছে, তা ঠিকঠাকভাবে বিক্রয় করতে পারলে প্রায় ৫০ লাখ টাকার অধিক মূল্যে বিক্রি করা যাবে। তিনি আরো জানান, যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা বা ঋণ পায় তাহলে তার নার্সারি বাগানটি আরো বড় করে সারা দেশব্যাপী তার নার্সারি চারা সরবরাহ ও বিক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মানুষ এসে তার সরদার ছায়াবৃক্ষ নার্সারি থেকে বিভিন্ন ধরনের চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।