ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রবাসীর টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ

অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রবাসীর টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ

অপহরণের নাটক সাজিয়ে মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক দুবাই প্রবাসীর মোটা অংকের অর্থ আত্নসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে সাইরাজ আফতাব সবুজ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এনিয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযুক্ত সবুজ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভুক্তভোগী সাইফুল দাবি করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুবাইতে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছিল। সম্প্রতি দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। খরচ কমাতে কয়েকজন আত্ময়-স্বজন একসঙ্গে মিলে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা পাঠান তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী ছেলের সবুজের অ্যাকাউন্টে। কথা ছিল টাকাগুলো তুলে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে দেওয়ার। টাকাগুলো অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার পর থেকে নানা তালবাহানা শুরু করেন। দীর্ঘ ১ মাস পর একটি তারিখ দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে অপরহণ নাটক সাজিয়ে টাকাগুলো না দেওয়ার পাঁয়তারা করে আসছে। তিনি আরো দাবি করেন, এরআগে পরিবারের নানা সমস্যার কথা বলে তার কাছ থেকে ওই যুবক আরো ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেন।

সাইফুল বলেন, সবুজকে নিজের ছেলের মতো বিশ্বাস করেছিলাম। যখন যা চেয়েছে তাই দিয়েছি। তার পরিবারের সমস্যার কথা বলে এরআগে আমার কাছ থেকে ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছে সে। সর্বশেষ তার অ্যাকাউন্টে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা পাঠালে দীর্ঘদিন গড়িমসি করতে থাকেন। ১ মাস পর ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ হঠাৎ একটি অপরহণ নাটক করেন সবুজ। গল্প সাজান ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দিনে দুপুরে ডাকাত দল তাকে অপরণ করে নিয়ে যান। টাকাগুলো নিয়ে তাকে গভীর রাতে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের চাইল্যাতলী এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যাওয়া হয়।

ব্যাংকের বরাত দিয়ে সাইফুল দাবি করেন, টাকাগুলো পাঠানোর পর ৪ দিনের মধ্যে বিভিন্নভাবে তুলে ফেলেন সবুজ। যেদিন টাকা উত্তলনের কথা দাবি করেছে, সেইদিন কোন টাকাই তুলেনি। প্রথমে টাকা ফেরত দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও টাকা চাওয়ায় এখন আমার পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি করেন সবুজ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত সাইরাজ আফতাব সবুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযুগ অস্বীকার করে বলেন, প্রায় সময় তার অ্যাকাউন্টে সাইফুল হুন্ডির টাকা পাঠায় তো। বরাবরের মতোই তার পাঠানো সব টাকা যার যার কাছে দিতে বলছে তাদের দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন সবুজ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। বসলে বিস্তারিত জানা যাবে। এর আগে তিনি বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি নন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত