ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রংপুরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার

রংপুরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার

রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার সময় ডিসি ক্রাইম অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বদলি জনিত ক্ষোভ ও ভাগভাটোয়ারের আদিপাত্য বিস্তারে ‘একেবারে সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ গুলিবর্ষণ করে বলে জানিয়েছে তারা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার আক্তার হোসেনের ছেলে কাওছার আলী (৪৩), ধাপ চেকপোস্ট হাজী কলোনির সোলাইমান আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম সুমন (৩৮), ধাপ শ্যামলী লেনের তৈয়বুর রহমানের ছেলে আহসান হাবীব মিলন (৩৫) এবং ধাপ শিমুলবাগ এলাকার ফজলুল হকের ছেলে হান্নান মিয়া বাবু (৩০)। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় স্বপ্ন শপিংমলের সামনে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে মোটর মালিক সমিতির নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মোটর মালিক সমিতির নিয়োগকৃত কাওছার আলীকে বাস টার্মিনাল থেকে মেডিকেল মোড় এলাকায় বদলি এবং আসাদুল ইসলাম সুমন ও আহসান হাবীব মিলনকে বরখাস্ত করা হয়। বদলি ও বরখাস্তে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপন হস্তক্ষেপের সন্দেহ করে গ্রেপ্তারকৃতরা। চাঁদাবাজি এবং ভাগবাটোয়ারায় আদিপাত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে একেবারে সরিয়ে দিতে নজরদারীর মধ্যে রাখে সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টার সময় আসাদুল ইসলাম সুমনের দেওয়া তথ্যে নগরীর কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে লক্ষ্য করে প্রাইভেট কারে গুলিবর্ষণ করে কাওছার আলী। গুলিবর্ষণ শেষে হান্নান বিন বাবুর মোটরসাইকেলে করে তাৎক্ষণিকভাবে তারা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় প্রাইভেট কারের ক্ষতি হলেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা হয় লিপনের। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করে সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপন। মামলা দায়েরের পর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন কর্নার থেকে বিশ্লেষণ করে অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ৪ জনের মধ্যে তিনজন এই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা রিমান্ডে জিজ্ঞাবাসাদে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন জানান, মূলত মোটর মালিক ও শ্রমিকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপাত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যেই এ গুলিবর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও রিভলবারটি (অস্ত্র) উদ্ধার সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধারে তাদের পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে করা হবে। সেই সাথে এই ঘটনায় আরো কারা কারা জড়িত তাদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। অচিরেই হয়তো জানানো সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত