কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগর পিএম কলেজ কেন্দ্রে অবাধে নকল করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার সময় খাতা কেড়ে নেওয়ায় কর্তব্যরত শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। প্রাণভয়ে পালিয়ে এসে ওই শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের ঘটনাটি অবগত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসএসসি পরীক্ষার ফিলিপনগর পিএম কলেজ (ভেন্যু) কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা এক শিক্ষক জানান, গতকাল পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার শুরু থেকেই নকল করে পরীক্ষা দিতে থাকে। এক বেঞ্চে দুজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এক বেঞ্চে চারজন করে পরীক্ষা দিতে থাকে। একপর্যায়ে বাইরে থেকে লুজখাতা লিখে তা মুল খাতার সাথে সংযুক্ত করার সময় অন্তত ১০টি লুজ খাতা কেড়ে নিয়ে তা কেন্দ্র সচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কক্ষের পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে অভিভাবকদের জানালে তারাও ক্ষুব্ধ হয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেন এবং কর্তব্যরত ওই শিক্ষকদের মারপিট করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরীক্ষা শেষে শিক্ষকরা স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম আন্টুর সহায়তায় কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে এবং নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনা ও শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়। তবে ওই কেন্দ্রর সচিব মো. ইমারুল ইসলাম এমন ঘটনা অস্বীকরে করে বলেন, আমার পিএম কলেজ (ভেন্যু) কেন্দ্রে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর ঘটলেও ওই শিক্ষকরা আমাকে না জানালে কী ব্যবস্থা নেব- বলে উল্টো গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্ন করেন। তার কেন্দ্রে নকল করে পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা এমন অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে ইংরেজির পরীক্ষার দিন নকল করতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষার্থীরা এক শিক্ষককে হুমকিধামকি দিয়েছে- এমন অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার শুরু থেকেই ওই কেন্দ্র অবাধে নকল চলছে বা নকল করে পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা এ অভিযোগ কেন্দ্রের কর্তব্যরত একাধিক শিক্ষকদের। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে নেওয়ার দাবি তাদের।