রবিতে ধ্রুপদী সংগীতের পুনর্জাগরণ

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্যভাবে উদ্বোধন হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিক্যাল কনফারেন্স অন মিউজিক। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে দুই দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে গতকাল দুপুরের দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় কনফারেন্সের প্রথম অধিবেশন। কনফারেন্স বক্তা হিসাবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান। দুপুরে রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিবেশনা করেন মনোমুগ্ধকর ধ্রুপদী সংগীত এবং বিকালে ‘বাংলা গানের পূর্বাপর: প্রসঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত’ ও ‘উচ্চাঙ্গ সংগীত থেকে আধুনিক বাংলা গান: একজন সংগীতজ্ঞের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রবির কনফারেন্সে প্রাবন্ধিক হিসেবে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. অসিত রায় ও বিশিষ্ট সুরকার শেখ সাদী খান। সন্ধ্যায় দেশ-বিদেশের সংগীত বিশেষজ্ঞদের শাস্ত্রীয় সংগীতের পরিবেশনায় ছিল ধ্রুপদ, খেয়াল, তবলা লহড়া, বীণা বাদন এবং উচ্চাঙ্গ সংগীত। প্রখ্যাত বীণাশিল্পী পণ্ডিত বিশখ শীলের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। কনফারেন্সের প্রথম দিনের কর্মসূচি কনফারেন্স সভাপতি রবির ভিসি প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, মহান স্বাধীনতার মাসে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বাঙালি জাতির পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার নেতৃত্বে আমরা যেমন স্বাধীন ভুখণ্ড পেয়েছি তেমনি সাংস্কৃতিক পরিচয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আজ যে আন্তর্জাতিক ক্লাসিকাল মিউজিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি তার পশ্চাতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতা। শেখ হাসিনা শিক্ষা-গবেষণা ও সংস্কৃতিকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য শাহজাদপুরে রবি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে জাতির মানসে চির অম্লান রাখার মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে রবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবি প্রথমবারের মতো এ আন্তর্জাতিক ক্লাসিকাল মিউজিক কনফারেন্সের আয়োজন করেছে। বর্তমানে আধুনিক বাংলা সংগীতের যে দুর্যোগ চলছে তা কটিয়ে সংগীতের ঘোর অমানিশা দূর করতে প্রয়োজন ধ্রুপদী সংগীতের পুনর্জাগরণ। নতুন প্রজন্ম শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চায় নিবেদিত হলে দেশাত্ববোধের উন্মেষ ঘটবে এবং মানবিক বোধ জাগ্রত হবে যা শান্তি সম্প্রীতি ও সৌহার্দের পরিবেশ সৃষ্টি করবে।