আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) নিবার্চনের প্রচারণায় ঘোড়া প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
সদ্য সাবেক মসিক মেয়র ও ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. ইকরামুল হক টিটুর সমর্থকরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এই প্রার্থী।
গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করে সুষ্ঠু ভোট নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন এহতেশামুল আলম।
এর আগে গত রোববার রাতে নগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ি কলোনি থেকে ফেরার পথে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র প্রার্থী আলম বলেন, রোববার দিনব্যাপী প্রচারণা শেষে রাতে নগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ি কলোনিতে প্রচারণার সময় ঘড়ি ঘড়ি স্লোগান দিয়ে আমিসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে আগলে ধরায় রক্ষা পাই। এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে ঘড়ি প্রতীকের সমর্থক জাহাঙ্গীর মৃধা, শামীম, সুজন, শ্রবাণ, শান্ত এবং অমিতসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল। এ ঘটনায় স্থানীয় রেদওয়ান আহমেদ নামে একজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। সেইসঙ্গে ঘটনাটি অবহিত করে নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তারা সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করলেই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা বেরিয়ে আসবে বলেও তিনি দাবি করেন।
এহতেশামুল আলম আরও বলেন, ঘোড়া প্রতীক জয়ের দ্বারপ্রান্তে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। এর আগে আমার গণসংযোগে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এতে আমার তিন কর্মী আহত হয়। তারা ভাবছে এসব করলেই আমি পিছিয়ে যাব, কিন্তু আমি পিছিয়ে যাওয়া মতো মানুষ না। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পিছিয়ে পড়ার জন্য নিবার্চনে দাঁড়াইনি। সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর উৎসাহে আমি প্রার্থী হয়েছি। ন্যক্কারজনক ঘটনার পরপরই মোহিত উর রহমান শান্ত ও হাতি প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাকেদুল হক খান মিল্কী টজু আমার খোঁজ নিয়েছেন। ইকরামুল হক টিটু ইচ্ছা করলে আমার খোঁজ নিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। তারা লুটপাটসহ সন্ত্রাসী রাজনীতি করে ময়মনসিংহের পরিবেশ উত্তপ্ত করছে। আমি আমার নেতা কর্মীদের সব সময় শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিচারের ভার তাদের কাছে দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-ভাপতি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম সাজ্জাদ জাহান শাহীন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শরাফ উদ্দিন আহম্মেদ বায়েজিদ, উপ-প্তর সম্পাদক মোস্তফা মুনুর রায়হান অসীম, সদস্য কাজী আজাদ জাহান শামীম প্রমুখ।