জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, আমাদের পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ণ প্রয়োজন। দুর্ঘটনা রোধে অপরিকল্পিত স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, রেস্টুরেন্টসহ সব স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্র, সমাজ ও নাগরিক সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জীবন অতি মূল্যবান। স্মার্ট সোসাইটি গঠনের মাধ্যমে সবার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বেইলি রোডের রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমসহ নিহত সবার স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার এ কথা বলেন। এ সময় আতাউর রহমান শামীমের কন্যা ফারদিন বাবার স্মৃতিচারণ করেন। ডেপুটি স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষকে নিয়েই আমাদের ভাবনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা, নারী, পুরুষ শিশু কিশোর সবাইকে নিয়ে ভাবতেন। প্রতিটি মানুষই রাষ্ট্রের মালিক। আমাদের সবার জীবনের নিরাপত্তা নিয়েই ভাবতে হবে। সব দুর্ঘটনার বিষয়ে সরকারের নজরদারি রয়েছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দায়িত্বশীল ও শৃঙ্খলাবদ্ধ মানুষ আমাদের তৈরি করতে হবে। প্রতিটি নাগরিককে সুনাগরিকে পরিণত হতে হবে।
নাগরিক ও সমাজের সহায়তা ছাড়া শুধু সরকার একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধান করতে পারবে না।
শামসুল হক টুকু বলেন, সেদিনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। পুরো জাতি শোকাহত ও মর্মাহত। আদর্শিক বন্ধুর চেয়ে বড় বন্ধু আর কেউ নেই, রাজনীতিতে এরকম বন্ধুত্ব যাদের সঙ্গে গড়ে উঠেছে, তারাই আপন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন বাস্তবায়নে রাজনীতি করি, রক্তের সম্পর্কের চেয়েও তারা আমাদের নিকট বেশি আপন। আমরা যদি শামীমের আদর্শ ধারণ করতে পারি এবং সে অনুযায়ী কাজ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারি, তাহলেই তার আত্মা শান্তি পাবে। সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ করিম এ সময় বক্তব্য দেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গণমাধ্যমের কর্মীরা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।