নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে গত সোমবার দুই ধাপে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর ১৭৯ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবে এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বান্দরবান জেলা প্রশাসক বলেন, গত সোমবার (১১ মার্চ) দুই ধাপে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর ১৭৯ জন বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে আশ্রিতদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১১ বিজিবি-পুলিশ-সিভিল প্রশাসনের সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে কাপড় ঘেরাও করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তবাহিনীর সদস্যদের রেখেছে বিজিবি। সেদিক দিয়ে সাধারণের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৯ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে বলে সোমবার রাতে নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।
এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।