বাঁশ দিয়ে লেন ভাগ
রংপুর নগরীতে তবু যানজটে দুর্ভোগ
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুর রহমান মিন্টু, রংপুর
রংপুর মহানগরীতে নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশার দাপটে যানজটের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যাগে সম্প্রতি নগরীর কাচারি বাজার থেকে সিটি বাজার ও পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি হয়ে জীবন বিমা মোড় পর্যন্ত সড়কে বাঁশ দিয়ে লেন ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ চালক তা না মেনে ইচ্ছেমতো লেন ব্যবহার করায় যানজট আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নগরবাসী। রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) সূত্রে জানা গেছে, রসিক থেকে ৮ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন নগরীতে অটোরিকশা ও রিকশা চলছে ২৫ থেকে ৩০ হাজারের মতো। এর মধ্যেই পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকেও শত শত অটোরিকশা ঢুকছে। এতে নগরীর প্রাণকেন্দ্র কাচারি বাজার, সিটি বাজার, সুপার মার্কেট, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, প্রেসক্লাব এরিয়া, শাপলা চত্বর ও ধাপ মেডিকেল মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অবৈধ রিকশা চলাচল বন্ধে নীল রং করা হলেও যানজট রয়েছে আগের মতোই। এখন বাঁশ দিয়ে লেন ভাগ করা হলেও তা কাজে আসছে না। আর নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন চলাচলের কারণে নগরীজুড়ে দুর্ঘটনা বাড়ছে। অনেকেই আহত হচ্ছেন। পথচারীরা আতঙ্ক নিয়েই রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। নগরীর পায়রা চত্বরে কথা হয় পথচারী বাদল রহমান ও মনিরুল ইসলাম সঙ্গে। তারা বলেন, রংপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার পর এই শহরে বিভিন্ন অফিস-আদালত হয়েছে। মানুষজন বেড়েছে। সেই সঙ্গে যানবাহনও বেড়েছে। এতে প্রায় নগরীজুড়ে যানজট লেগেই থাকে। অনেক সময় দীর্ঘ সময় ধরে এই ভোগান্তি পোহাতে হয়। মাঝে মাঝে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকারও হন। তবে সম্প্রতি বাঁশ দিয়ে লেন ভাগ করা হলেও চালকরা মানছেন না। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, নগরীর যানজট নিরসনে তারা নানা উদ্যাগ নিয়েছেন। বাঁশ দিয়ে লেন ভাগ করা হয়েছে। এর আগে বৈধ অটো গাড়ি নীল রং করা হয়েছে। এখন নগরীজুড়ে যানজট কমেছে। সামনে আরো কমে আসবে। রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, নগরীতে যানজট নিরসনে সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে রংপুরকে যানজটমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।