ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চালু হলো দেশের দীর্ঘতম রেলরুট

চালু হলো দেশের দীর্ঘতম রেলরুট

দীর্ঘ ১৩ বছর প্রতীক্ষার পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো আন্তঃনগর ট্রেন বুড়িমারী এক্সপ্রেস। তবে এটি আপাতত লালমনিরহাট-ঢাকা রেলপথে চলাচল করবে। আর জেলার চার উপজেলার যাত্রীদের অন্য ট্রেনে লালমনিরহাট এসে উঠতে হবে বুড়িমারী এক্সপ্রেসে। মূলত লোকাল একটি ট্রেনের মাধ্যমে ওই যাত্রী বহনে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে নিয়ে আসবে। এর মধ্যে আদিতমারী উপজেলায় যাত্রাবিরতি করবে না লোকাল ট্রেনটি। এতে করে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীসহ পুরো জেলাবাসীর প্রশান্তির বদলে অনেকটাই মন খারাপ। এদিকে ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে সরাসরি চালুসহ সব কয়েকটি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেওয়ার দাবি তুলে যাত্রীরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করেছেন। গতকাল দুপুরে বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেস নামের নতুন আন্তঃনগর ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলার অপর দুই সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ ও মতিয়ার রহমান এবং পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার। এছাড়া সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমি, লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার আব্দুস সালাম, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। উদ্বোধনী দিনে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনে চালকের দায়িত্বে রয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও রাশেদুল ইসলাম এবং পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন শাহিন মিয়া। ১৪টি বগির এই ট্রেনের আসন রয়েছে ৬৫৩টি। দুপুরে উদ্বোধন হলেও ট্রেনটি রয়েছে বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশনে। এটি নৈশকালীন হওয়ায় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বুড়িমারী থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। ৬৩৮টি আসনের মধ্যে প্রথম দিন ৪৩০ জন যাত্রী নিয়ে ছুটবে বহুল প্রত্যাশিত বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন। পথ দীর্ঘ হওয়ায় আপাতত ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশন থেকে নিয়মিত যাতায়াত করবে। সেক্ষেত্রে বুড়িমারী স্থলবন্দরের যাত্রীদের জন্য একটি শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। জেলার প্রতিটি উপজেলায় যাত্রাবিরতি দেওয়ার কথা থাকলেও আদিতমারী স্টেশন কেটে বড়খাতা ইউনিয়ন লেবেলের স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেওয়া হবে। এদিকে লালমনিরহাটের আদিতমারী, রংপুরের পীরগাছা, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা ও সাদুল্লাপুরের নলডাঙ্গায় ট্রেনটির যাত্রাবিরতি রাখা হয়নি। আদিতমারীর সুলতান মাহাবুব বলেন, বুড়িমারী থেকে সরাসরি ট্রেনটি চলার কথা থাকলেও সেটি চলবে না। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে গেল। আর বেশ কয়েকটি স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকছে না। যে কারণে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ জেলার মানুষ। আমরা এ অঞ্চলের মানুষ হিসেবে দাবি করছি, দ্রুত বুড়িমারী থেকে সরাসরি ঢাকা যাওয়া সুযোগ যেন থাকে। তাহলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের যাত্রীরা সহজে এই ট্রেনে ঢাকায় যেতে পারবেন। বুড়িমারীর ৭০ বছরের শুক্কর আলী জানান, বুড়িমারী এক্সপ্রেস নামে ট্রেন চালু হলেও বুড়িমারীর মানুষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। লালমনিরহাট কিংবা অনলাইন থেকে টিকিট নিতে হবে। এই অঞ্চলের অনেক মানুষ অনলাইন তেমন বুঝে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত