ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দিনাজপুরের পান চাষিদের সফলতা

দিনাজপুরের পান চাষিদের সফলতা

দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে জমে উঠেছে পানের বাজার। এই উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে ৩৫৫টি পানের বরজ রয়েছে। পান চাষিরা সবাই স্বাবলম্বী। পানচাষি সমিতির সভাপতি সাইদুল ইসলাম জানান, প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি ও রোববার হিলিতে এই পানের হাট বসে। প্রতি হাটবারে উপজেলার পান-চাষিরা পাইকারিতে বিক্রি করতে পান হাটে নিয়ে আসেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসেন পান কিনতে। গত বৃহস্পতিবার হিলি পানের হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

হিলি হাটে পান বিক্রি করতে এসেছেন জেলার হাকিমপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের আব্দুল মাবুদ। তিনি বলেন, ‘বাপ-দাদার সময় থেকে আমাদের পানের বরজ রয়েছে। আগে ৩ বিঘার ৩টি বরজ ছিল। কিন্তু তার বাবা মারা যাওয়ার পর সে নিজে ১ বিঘা জমির একটি বরজ ভাগ পেয়েছে। এখন ওই বরজেই পানের চাষ করেন। প্রতি হাটে ৪০ বিরা পান তুলে তিনি বিক্রি করেন। এতেই তার সংসারের খরচ চলে যায়। এছাড়া আরো কিছু ধানি জমি আছে, সেগুলোতে ধান চাষ করেন।

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে পানের দাম একটু বেশি পেয়েছি। ৫ হাজার টাকায় ৪০ বিরা পান বিক্রি করেছি। এখন দাম একটু কমেছে। গত বৃহস্পতিবার ৩ হাজার টাকা দরে ৪০ বিরা পান বিক্রি করেছে। ছোট বরজ, নিজেই বরজে শ্রম দেয়। তাই তাকে শ্রমিকের খরচ দিতে হয় না।’ জয়পুরহাট থেকে হিলি হাটের পান কিনতে এসেছেন মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন হাট থেকে পান কিনে জয়পুরহাট সদরের দোকানে দোকানে খুচরা বিক্রি করেন। তাই প্রতিহাটে হিলি আসেন পান কিনতে। গত হাটে ৪০ বিরা পানের দাম ছিল ৪ হাজার টাকা। গতকাল একটু কম ছিল। আকারভেদে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে পান কিনেছেন। এলাকায় খুচরা বিক্রি করে প্রতি পোয়াতে ৫০০ টাকা লাভ থাকতে পারে।’

জেলার হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আরজেনা বলেন, দিনাজপুর জেলার মধ্য এই উপজেলার জমি পান চাষের জন্য খুবই উপযোগী। জেলার মধ্য হাকিমপুর উপজেলার সবচেয়ে বেশি পানের বরজ রয়েছে। এই উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। উপজেলায় মোট বরজ রয়েছে ৩৫৫টি। কৃষি বিভাগ সবসময় পান চাষিদের পানপাতার রোগ বালাইমুক্ত রাখতে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে পান চাষিরা কৃষি বিভাগের নিকট যান। প্রয়োজনে কৃষি কর্মকর্তা নিজেই গিয়ে রোগ নির্ণয় করে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।’ কৃষি বিভাগের নিয়মিত সহাতায় পান চাষিরা সফলতা অর্জন করেছে এবং সাবলম্বী হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত