বাংলাদেশি তেলবাহি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জিম্মি রেখেছে। এ জাহাজের নাবিকসহ ২৩ ক্রুকেও জিম্মি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর-নুরনগর গ্রামের আবুশামা সেখের ছেলে নাবিক নাজমুল হক (২৪)। এ ঘটনায় ওই পরিবারের এখন শোকের মাতম চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নাজমুল ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজে চাকরিতে যোগ দেন এবং এরআগে অপর একটি জাহাজে চাকরি করছিলেন। গত মঙ্গলবার ভোর রাতে আফ্রিকা থেকে সাগর পথে দুবাই যাওয়ার পথে দুপুরে ২৩ জন নাবিক-ক্রুর সঙ্গে জিম্মি হয় জলদস্যুদের হাতে ওই তেলবাহী জাহাজের নাবিক নাজমুল। এ জিম্মি ঘটনার সময় সবার মোবাইল ফোন জব্দ করা হলেও নাজমুল বিশেষ কৌশলে তার মোবাইল লুকিয়ে রাখে এবং ওইদিন গভীর রাতে এ ফোন দিয়ে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়। নাবিকের মা বাবা গতকাল সকালে সাংবাদিকদের বলেন, নজমুল গভীর রাতে ফোন দিয়ে বলে মা, আমাদের জাহাজসহ ২৩ জনকে জিম্মি করে রেখেছে জলদস্যুরা। আমাদের জন্য দোয়ার কথা বলেই ফোন কেটে দেয়া হয়। আমাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তার আয় রোজগার দিয়ে আমাদের সংসার চলে। নাজমুলকে জীবিত ফিরে পাওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা। জেলা পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, গণমাধ্যমে এ বিষয়ে জানার পর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে নাবিক নাজমুলের পাসপোর্ট নাম্বার ওয়েব সাইটে সার্চ দিয়ে তার পরিবারের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়। তার পরিবার আত্মীয়স্বজনকে সান্ত¦না দিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তবে জিম্মি জাহাজ ও নাকিসহ তাদের উদ্ধারের বিষয়ে রাষ্ট্রই ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।