যশোরের শার্শায় লেবু চাষ করে প্রথমবারেই সফলতা পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম। সাড়ে ৩ বছর আগে সৃজিত বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ রঙের লেবু। লেবু চাষে তার এমন সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই উৎসাহিত হয়েছেন। পাইকাররা বাগানে এসেই কিনছেন লেবু। তাই বাজারজাত করার বাড়তি ঝামেলা নেই।
প্রতি পিস লেবু তিনি ৫ টাকা করে বিক্রি করছেন। লেবুর ভালো দাম পেয়ে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম অনেক খুশি। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহীরা বাগান দেখে লেবু চাষে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। কৃষি অফিস জানায়, লেবু চাষে খরচ কম, লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। চারা লাগানোর ১ বছর পর থেকেই ফলন পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা করলে একবার চারা রোপণের পর একাধারে অন্তত ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।
সারাবছরই লেবুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ লেবু অনেক উপকারী। তাই বাজারে এর চাহিদা বেড়েছে। কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গার্মেন্টস ব্যবসার পাশাপাশি ইউটিউব দেখে সাড়ে ৩ বছর আগে আড়াই বিঘা জমিতে উন্নত পদ্ধতিতে সাড়ে ৩০০ চায়না-৩ সুগন্ধি (লেবু) চারা রোপণ করি। চারা ক্রয়, গর্ত তৈরি, সার ও অন্য খরচ মিলে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। চারা রোপণের ১ বছর পর থেকেই লেবুগাছে ফল ধরা শুরু হয়।’
বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে ২০০ থেকে ২৫০টি করে ফল ধরেছে। এরই মধ্যে তিনি ২০ হাজার লেবু বিক্রি করেছেন। ৫ টাকা দরে ১ লাখ টাকা। আরও প্রায় ৩০ হাজার লেবু বিক্রি করা যাবে। এছাড়া বাগান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার লেবু ৫-৬ লাখ টাকা বিক্রি করেন জাহাঙ্গীর আলম। উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা বলেন, ‘উপজেলার গোগা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নিজ উদ্যোগে জমিতে লেবু বাগান করে সফল হযেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে লেবু, মাল্টা, আম ও অন্য ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। প্রতিটি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পাশে থেকে বিভিন্ন ফল ও ফসল চাষে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন।’