আলোচনা সভায় ড. কামাল উদ্দিন
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর জীবন এক মহাকাব্য। ভালোবাসা ও মমতায় তিনি ছিলেন অসাধারণ, প্রতিবাদেও ছিলেন অসীম সাহসী। এজন্য মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অসংখ্যবার জেলে খেটেছেন। শাসকের রক্তচক্ষুকে তিনি কখনো ভয় করেননি। বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের সঙ্গে কখনোই আপস করেননি। শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের জন্য লড়াই করেছেন এবং তিনি ছিলেন মানবাধিকার আন্দোলনের একজন মহান পথিকৃৎ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কথাগুলো বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শ ও দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শিশুদের গড়ে তুলতে পারলে আমরা এক উন্নত জাতিতে পরিণত হতে পারব। উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে শিশুদের মানবিক গুণাবলী ও ব্যক্তিত্বের বিকাশে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।’
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা, সম্মানিত সদস্য মো: আমিনুল ইসলাম ও ড. তানিয়া হক, সচিব সেবাষ্টিন রেমা, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো: আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সভায় কমিশনের সাবেক সম্মানিত সদস্য নিরূপা দেওয়ান এবং বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী শীপা হাফিজা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন।
কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের নেতা, বিশ্ব মানবতার নেতা। তার জীবন ও কর্মের প্রতিটি পাতায় পাতায় রয়েছে- সংগ্রামের ইতিহাস, শান্তি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস।
আলোচনায় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘ ২৩ বছরের গণমানুষের মুক্তির আন্দোলনের পথপরিক্রমায় ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮-এর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন এবং ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্ব ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেন এবং গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।