ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এখনো জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি নাবিকরা

এখনো জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি নাবিকরা

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ। জানা যায়, জাহাজটি ধারণ ক্ষমতার সমান (ফুল লোডেড) পণ্য নিয়ে চলছিল। এতে সাগরে পানির স্তর থেকে ডেকের দূরত্ব একেবারেই কমে যায়। জাহাজের গতিও ছিল কম। ছিল না আর্মস গার্ড তথা নিরাপত্তারক্ষী। পানির স্তর থেকে ডেকের দূরত্ব কমে যাওয়ায় জলদস্যুরা ক্ষিপ্ত গতির নৌযান থেকে দ্রুত উঠে যায় ডেকে। এদিকে গত রোববার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত ঘটনার ৬ দিনে এসেও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। জাহাজটির মালিক পক্ষ যোগাযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। সবমিলে জিম্মি নাবিকদের পরিবারে উৎকণ্ঠা ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে নাবিকদের পরিবারে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ক্রমেই বাড়ছে। তারা প্রতিদিন খবর নিচ্ছেন জাহাজ মালিকের প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ে। সূত্র জানায়, জিম্মি ২৩ নাবিকের ১১ জনের বাড়ি চট্টগ্রামে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উত্তর বন্দরের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ও বৈরাগ সেন্টার এলাকার বাসিন্দা শামসুদ্দিন শিমুল। জিম্মি হওয়ার খবর আসার পর থেকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় কাটছে তাদের স্বজনদের। গত রোববার তারা তাদের স্বজনদের ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান। সাজ্জাদ হোসেনের পিতা গাজু মিয়া বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করছি আমার ছেলে যেন ফিরে আসে। আমার ৫ ছেলের মধ্যে সাজ্জাদ ৩ নম্বর। এই ছেলে আমার কোনো কিছুতে কমতি রাখে নাই। প্রতিদিন ফোনে আমার খোঁজখবর নিত। আজ এক সপ্তাহ আমার ছেলের কোনো খবর নেই। আমাদের একেকটা দিন কাটছে বছরের মতো। অপর জিম্মি নাবিক শামসুদ্দিন শিমুলের স্ত্রী ফারজানা সুলতানা জানান, আমার ৩ মেয়ে। মেয়েরা বাবার জন্য খুব কান্না করছে। আমার দুই মেয়ে স্কুলে পড়ে, ছোট মেয়ের বয়স এখন ১৪ মাস। ফারজানা সুলতানা আরও বলেন, আমার স্বামীর অনেক ধার ছিল, তিনি বলেছিলেন আমি জাহাজ থেকে এখন আসব না। জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগ মুহূর্তে ক্রুদের ধারণ করা কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জাহাজটিতে দ্রুত উঠে যাচ্ছে দস্যুদলের এক সদস্য। পেছনে ভারী অস্ত্র থাকলেও ডেকে দ্রুত সময়ে পৌঁছাতে খুব বেশি বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত