ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজধানীতে দুই কিশোর গ্যাংয়ের ১৪ সদস্য গ্রেপ্তার

রাজধানীতে দুই কিশোর গ্যাংয়ের ১৪ সদস্য গ্রেপ্তার

রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী থেকে রিংকু ও অনিক নামে দুটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তাদের প্রধান যথাক্রমে রিংকু ওরফে আরএম রিংকু ও হাসিবুল হাসান অনিক। মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার গ্যাং সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, রিংকু ওরফে আরএম রিংকু, তানভীর মাহমুদ সাজ্জাদ, মো. ছাব্বির হোসেন, মো. রাজিব হোসেনসহ আরও চারজন। পল্লবী থেকে গ্রেপ্তার গ্যাং সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, মো. হাসিবুল হাসান অনিক, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. জামাল শিকদার ওরফে রবিন ও মো. বেলাল হোসেনসহ আরও দুজন। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ধারালো চাপাতি, ছুরি, ক্ষুর, হেরোইন ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গতকাল দুপুরে র‌্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (অপারেশন অফিসার) এএসপি জিয়াউল হক এসব তথ্য জানান। জিয়াউল হক বলেন, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয়। এর মধ্যে রিংকু গ্রুপের ২০ থেকে ৩০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এ গ্যাংয়ের সদস্যরা মিরপুর-২ এর আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। রিংকু গ্রুপের লিডার রিংকু ওরফে আরএম রিংকুর বিরুদ্ধে মিরপুর, ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় মাদক, দস্যুতা, চুরি, মারামারি ও খুনের চেষ্টা-সংক্রান্ত চারটি মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, অন্যদিকে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বেশকিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয়। এর মধ্যে অনিক গ্রুপের লিডারসহ ২০/৩০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। তারা বাউনিয়াবাদসহ আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

অনিক গ্রুপের লিডার মো. হাসিবুল হাসান অনিকের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় চারটি মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চিহ্নিত এসব বেপরোয়া ও মাদকসেবী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অত্যাচারে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ ও অসহায় হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি। এএসপি জিয়াউল হক বলেন, হাসিবুল হাসান অনিক ও আরএম রিংকু তাদের সহযোগীদের নিয়ে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা সাধারণ লোকজনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আঘাত করত। ফুটপাতের দোকানদাররা চাঁদা দিতে অস্বীকার জানালে তাদেরও মারধর করত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত