ইউপি চেয়ারম্যান দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দূনীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক দুটি মামলা করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকার মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ থাকায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জোমেলার বিরুদ্ধে ৩৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের সাথে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ থাকায় এ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। গত বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেন। এ মামলা দুটিতে উল্লেখ করা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে পাবনা কার্যালয় তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেয়া হয়। গত বছরের ১২ মে তিনি তার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সর্বমোট ২ কোটি ৫৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৪ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ১৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৩ টাকা। কিন্তু উল্লেখিত সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ টাকা। অর্থাৎ সাইফুল ইসলাম জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৪ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এদিকে একইভাবে তার স্ত্রী জোমেলার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ১ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার ২১৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৮ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ১ কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এসব সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মাত্র ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩০ টাকা এবং জোমেলা ১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৯১৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের ওই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খায়রুল হক সাংবাদিকদের জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে মামলা দুটির তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই এবং এখনও লিখিত কোনো চিঠি পাইনি। দুদক অফিসে যোগাযোগ করে বিষয়ে নিশ্চিত হবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।