সরকারি আকবর আলী কলেজ

গণিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার অভিযোগ

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সরকারি আকবর আলী কলেজের গণিত বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর দেয়ার কথা বলে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে- এই মর্মে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ওই কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর এ লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। জাকির হোসেন ২০০৫ সালের মাঝামাঝি সময় ওই কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে ওই কলেজে কর্মরত থাকায় কলেজ ঘিরে আধিপত্য বিস্তার করছেন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজে ক্লাস চলাকালীন সময়ে প্রাইভেট পড়ান এবং নানাভাবে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করান। ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয়ে বাধ্য হয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়েন অনেক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা ইতোপূর্বে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। ওই কলেজের গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের অনেক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, শিক্ষক জাকির হোসেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর দেয়ায় কথা বলে নির্ধারিত হারে টাকা নিচ্ছেন। সরকারি পরিপত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ১৫০ টাকার বেশি নেয়ার নিয়ম নেই অথচ তিনি প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি টাকা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা গত রোববার জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ওই কলেজের অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর মঞ্জুর মোর্শেদ ভুইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেছে। তারা আমার কাছেও একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সে অভিযোগ গ্রহণ না করে সমাধানের জন্য শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা অভিযোগকারীসহ অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছেন। অবশ্য গণিত বিভাগের ওই শিক্ষক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।