ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ক্রেতার অনীহা ও প্রতিকূল পরিবেশ

রাঙামাটিতে তরমুজ বেচাকেনায় ধস

রাঙামাটিতে তরমুজ বেচাকেনায় ধস

ক্রেতার অনীহা ও প্রতিকূল পরিবেশের কারণে রাঙামাটিতে তরমুজ বেচাকেনায় ধস নেমেছে। তরমুজের মূল্য অর্ধেকে নেমে আসার পরও বাজারে রয়েছে ক্রেতাশূন্য। এনিয়ে গত কয়েক দিনে বিপাকে পড়েছেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রেতা না থাকায় তরমুজ বিক্রি করতে পারছি না। স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে দুই-একটি যা বিক্রি হচ্ছে, তা দাম গত কয়েকদিনের অর্ধেক। তারা আরো বলেন, কাঁচা পণ্য বেশি দিন ধরে রাখা যায় না, তাই লোকসান হলেও বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তরমুজ আসে জেলা সদরে। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, প্রতিবছরের মত এবারও তরমুজের ফলন হয়েছে ভালো। এবার রাঙামাটিতে ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। কিন্তু আগাম বৃষ্টি ও আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটায় ভাল দামে তরমুজগুলো বিক্রি হচ্ছে না। তাই কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আড়ত কিংবা দোকানে থাকতে থাকতে এই তরমুজগুলো পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও পানি পথে আনা বোট থেকে নষ্ট হতে থাকা তরমুজ পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। খুচরো তরমুজ ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক ও শান্তি মনি চাকমা জানিয়েছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়াতে তরমুজ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা। তরমুজ কিনতে অনীহা সাধারণ ক্রেতাদের। তাই চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ। ফলে লোকসানের ভয়ে এই দুই ব্যবসায়ী। কলেজ গেট বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, গত সপ্তাহ খানেক আগে যে তরমুজ ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি এখন সেটি ২০০ টাকায়ও বিক্রি করাও সম্ভব হচ্ছে না। এর মূলত কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন। আমরা ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছি। তারা জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন না হলে এ ব্যবসায় তাদের ধস নামবে। এদিকে শহরের অলিগলিতে ভ্যান নিয়ে ছুটছেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা। তারপরও বিক্রি হচ্ছে না এ সব তরমুজ। এদিকে ক্রেতা পর্যায়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার রোজার শুরুতে দাম বেড়ে যাওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মানুষজন। ফলে বাজারে ধস নেমেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত