বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে এবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এরা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
গতকাল ভোরে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে এই তিন সদস্য পালিয়ে আসে। সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা গিয়ে তাদের সাথে থাকা অস্ত্র জমা নেয়ার পর তাদের হেফাজতে নেয়া হয়। এদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের দেয়া এসব তথ্য প্রাথমিকভাবে সত্য বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, তিনজন পালিয়ে আশ্রয় নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনজনকে হেফাজতে নেয়ার পর বিজিবি সদর দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
এর আগে ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ-বিজিপি সদস্য। এরাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছে। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
তারও আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপিসহ ৩৩০ জন; যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুইজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
