সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ইউপি সদস্যরা। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সদস্যর স্বাক্ষরিত এ অনাস্থাপত্র দাখিল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্যদের অনাস্থাপত্রে বলা হয়েছে, গত তিন অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়ন কর ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে পাওয়া অর্থ এবং উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ১% অর্থ কোনো প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না করে তা আত্মসাত করছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। এছাড়া উন্নয়ন তহবিল, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, এডিপির প্রকল্পগুলো একক সিদ্ধান্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোনটা আংশিক কোনটা বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাত এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মেরামতের জন্য বরাদ্দ করা অর্থও আত্নসাৎ করেছেন। সেইসাথে বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা ও মাতৃকালীন ভাতার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার রেজুলেশন ছাড়া নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিগণের নাম সুপারিশ করে উপজেলার সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাচ্ছেন এবং ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে তালিকা না নিয়ে ভিজিএফ কার্ডের তালিকাও পাঠিয়েছেন। তিনি মিটিং না করে ভয়-ভীতিও হুমকি-ধামকি দিয়ে ইউপি সদস্যগণের রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিয়ে আসছেন। তিনি একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে পরিষদ ভবনে পর্যাপ্ত কক্ষ থাকা সত্বেও ইউপি সদস্যগণের জন্য কোনো প্রকার বসার ব্যবস্থা রাখেননি। এমন দুর্নীতিগ্রস্থ ও স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তির সঙ্গে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ না থাকায় তার বিরুদ্ধে এই অনাস্থা আনা হয়। এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই এবং ওই অভিযোগে আমার স্বাক্ষর নাই। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ অভিযোগ করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ যে কেউ দিতে পারে। কোনো অনিয়ম দুর্নীতি করলে সেটা দেখবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের অনাস্থাপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
