রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত বেইলি রোডে ভিড় করছে উচ্চবিত্ত মানুষরা। অপরদিকে দামে স্বস্তি পেতে মধ্যবিত্তরা ছুটছেন মৌচাকের মার্কেটগুলোতে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী বেইলি রোডের একাধিক বিপণিবিতান, মৌচাকে আনারকলি সুপার মার্কেট, মৌচাক মার্কেট ও সেন্ট্রাল পয়েন্ট শপিংমল ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আরো বেশ কয়েকদিন বাকি রয়েছে। তবে এর আগে সর্বশেষ সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় বেড়েছে বেচাকেনা। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে যেসব মানুষ ঢাকা ছাড়বেন তারা কেনাকাটা করছেন। ফলে মৌচাকের মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের অনেক চাপ দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যার পরপর এই চাপ আরো বাড়বে বলে আশা তাদের। তবে জুমার আগে ও পরে প্রায় স্বাভাবিক ছিল বেইলি রোডের বিপণিবিতানগুলো। এলাকাটির বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান ও নাভানা বেইলি স্টার শপিংমল ঘুরে ক্রেতাদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা না গেলেও তা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তাদের ভাষ্য, বেইলি রোডে ক্রেতার সংখ্যা লিমিটেড। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষ এখানকার ক্রেতা। ফলে দুপুরের সময় হওয়ায় ক্রেতা কিছুটা কম। ইনফিনিটি ব্যান্ডের আউটলেটে ক্রেতাদের মোটামুটি উপস্থিতি দেখা গেছে। একদামের দোকান হওয়ায় ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে নিজের পছন্দের পণ্য বাছাই করছেন। পরবর্তীতে কাউন্টারে কার্ড বা নগদ অর্থের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করছেন।
তেমনই একজন ক্রেতা আরশাদ করীমের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ঈদের আরো বেশ কয়েকদিন বাকি আছে। তবে শেষের দিকে ভিড় কিছুটা বাড়ে। আজ সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় এসেছি। বেইলি রোড মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছি। বাসায় যাওয়ার আগে ঢু মেরে গেলাম। একটা টি-শার্ট ও প্যান্ট নিয়েছি। সন্ধ্যার পর হয়তো বাচ্চাদের নিয়ে আসব। একইচিত্র পাশের মৌচাক মার্কেট, সেন্টার পয়েন্ট শপিং মলেও। ক্রেতারা বলছে, নিউমার্কেটের পরেই সর্বসাধারণের জন্য সব থেকে বড় মার্কেট মৌচাকে। এখানের বিপণিবিতানের পণ্যগুলো বাজেট ফ্রেন্ডলি ও মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। একইসঙ্গে কাপড়ের কোয়ালিটিও মানানসই।