ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চরাঞ্চলের দুরাবস্থা

সিরাজগঞ্জে লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

সিরাজগঞ্জে লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। পবিত্র রমজান মাসে লোডশেডিংয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলসহ এ জেলার মৌসূমী ইরি বোরো ধানের আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে কৃষকেরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে বায়ুর আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে গরমের প্রভাব বাড়ছে। এজন্য বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জেলার যমুনা নদী বিধৌত চৌহালী উপজেলায় ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এ কারণে চৌহালীতে ২৪ ঘঁঁঝার মধ্যে বিদ্যুৎ থাকে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। এ কারণে ইরি বোরো আবাদে সেচ পাম্পগুলো বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ কারণে ইরি-বোরো ধানের আবাদ নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা। কারণ এ সময় ওই আবাদি জমিতে পানি না থাকলে ধান চিটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই উপজেলায় বিদ্যুৎ এর গ্রাহক ১৫ থেকে ২০ হাজার। এ গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা ২.৫০ আর প্রয়োজন ৩.৭৫ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এলাকাভিত্তিক সমন্বয় করে বিদ্যৎ সরবরাহ না করায় এক এলাকায় এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে পরের ঘন্টায় ওই এলাকার বিদ্যুৎ বন্ধ করে অন্য এলাকায় দেয়া হয়। স্থানীয় আদর্শ কৃষকেরা জানান, এ লোডশেডিংয়ে মৌসুমি ইরি বোরো ধানের আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছি। বর্তমানে ধানের ছড়া বাইর হওয়ার সময় হয়েছে। এ মুহূর্তে সব সময় জমিতে পানি রাখতে হবে। পানি না থাকলে ধান চিটা হয়ে যাবে। গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ আসে আর যায়। পুরো দিনে ৩০ শতক জমিতে পানি দেয়া যাচ্ছে না। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে গত শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয় ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বায়ুমন্ডলের আদ্রতা বেড়েছে ৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এ বায়ুমন্ডলের আদ্রতার কারণে গরমে অতিষ্ঠতা দেখা দিয়েছে। এ সময় বিদ্যুৎতের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। টাঙ্গাইল গ্রেড থেকে চৌহালী- নাগরপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আর ৩০ মেগাওয়াটের স্থলে সময়ভিত্তিক পাচ্ছি ২-৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এজন্য এ অঞ্চলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাজেদুর রহমান বলেন, এ সময় চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বোরো ধানের জমিতে পানি না থাকলে ধান চিটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগের জরুরি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত