সপ্তাহব্যাপী গরমে হাঁসফাঁস। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছেন না। তাই বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা। প্রচণ্ড রোদ ও গরমের ভেতরে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে আখ খেতে নিড়ানি দেওয়ার কাজ করছেন শ্রমিক জামাল আলি এবং তসলেম আলী। তারা বলেন, রোদ গরমে খুব কষ্ট হলেও বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না। তাই রোদ গরমের মধ্যেও কাজ করতে হচ্ছে। গতকাল বিকাল ৩টায় ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড কবা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় ঈশ্বরদীতে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী পাবনার ঈশ্বরদীতে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ঈশ্বরদীতে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহ ধরে ঈশ্বরদীতে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রি, ১৫ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এপ্রিল মাসজুড়েই গরমের তীব্রতা রয়েছে। তবে এপ্রিলের ১২ তারিখ থেকে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করছে ও তা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গত ১২ এপ্রিল ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন ১৩ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রি, ১৫ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১৬ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং বুধবার ১৭ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা তীব্র তাপপ্রবাহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। রিকশা ও অটোচালকদের সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।